বগুড়ার শিবগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শতবর্ষী শ্মশানের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হককে ভৎর্সনা করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে দখলের দায় স্বীকার করে ওই শ্মশানে ব্যানার টাঙ্গিয়ে স্থানীয় জনগণের কাছে ক্ষমতা চাইতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। শ্মশানের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক গতকাল বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চে ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে হাজির হলে আদালত এসব নির্দেশনা দেয়। এর আগে গত ১৩ মে এক আদেশে আজিজুল হককে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ঠিক করেছে আদালত। গতকাল রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং আজিজুল হকের পক্ষে আইনজীবী লায়েকুজ্জামান মোল্লা শুনানি করেন। আদেশে আদালত বলে, স্থানীয় জনগণের কাছে ওই কাজের জন্য শ্মশানে ব্যানার লাগিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ব্যানারে লিখতে হবে, ‘শ্মশানের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টা করে আমি ভুল করেছি। এ ধরনের কাজ আর কোনো দিন করব না।’ আদেশে আরও বলা হয়, ব্যানার টানিয়ে ক্ষমা চাওয়ার অনুষ্ঠানে ওই শতবর্ষী শ্মশানের কমিটিকে উপস্থিত রাখতে হবে। ওই ক্ষমা চাওয়ার অনুষ্ঠানের ছবি আগামী রবিবারের মধ্যে হাই কোর্টে উপস্থাপন করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে দখলের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইতে বলা হয়েছে আদেশে। ২০১৬ সালের ২৬ জুন ওই শ্মশানের জায়গা দখল নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাই কোর্টের রিট আবেদন দায়ের করে।