বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
দৃষ্টি এবার গাজীপুরে

এমপিরা প্রচারণায় সুযোগ পেতে পারেন

গোলাম রাব্বানী

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন এমপিরা। আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি নির্বাচনসহ অন্যান্য সিটি নির্বাচনের প্রচারে এমপিদের সুযোগ দিতে আচরণবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে  নির্বাচন কমিশন-ইসি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্থানীয় নির্বাচনে (সিটি) এমপিদের প্রচারণার সুযোগ চেয়ে প্রস্তাব  দেওয়ার পর কমিশন আচরণবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। যদিও বিগত রকিব কমিশন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে পরে সরে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমপিদের প্রচারণায় সুযোগ দিতে আচরণবিধির একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সেই সঙ্গে আইন সংস্কার কমিটির সদস্যরাও সুপারিশ তৈরি করেছে। কাল কমিশন বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হবে। তবে শুধু সংশ্লিষ্ট সিটি এলাকার এমপি, না কি সব এমপিই সিটি নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কমিশন সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। আবার কমিশন চাইলে এমপিদের প্রচারণার বিষয়ে আগের নিষেধাজ্ঞাও বহাল রাখতে পারেন। গাজীপুর সিটির ভোটের প্রচার শুরু হবে ১৮ জুন। তার আগেই আচরণবিধি সংশোধন করতে চাইছে ইসি। এমপিদের সিটি ভোটে প্রচারের সুযোগ দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সংসদ সদস্যরা অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তাদের নির্বাচনে প্রচারণায় সুযোগ দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। এ ছাড়া যেসব দলের এমপি নেই, সে দলগুলো বৈষম্যের শিকার হবে। এ বিষয়ে ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, একটি রাজনৈতিক দল কমিশনের কাছে বিধি সংশোধনের দাবি নিয়ে এসেছে। সেজন্যে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। যদিও এর আগের কমিশন বৈঠক আচরণবিধির বিষয় উপস্থাপন করা হলে কমিশন তা আইন সংশোধন কমিটিতে পাঠিয়েছিল। গত ১৩ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। তখন তারা এ বিষয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনের দাবি জানায়। এরপর গত ১৯ এপ্রিল এ বিষয়ে বৈঠক করে কমিশন। বৈঠকে একজন নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেন, সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে। অপর একজন কমিশনার সব সংসদ সদস্যকে এ সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেন।

 তার পরও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের এই দাবি পূরণের পক্ষেই কমিশনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের আইন ও বিধি সংস্কার কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমকে এ বিষয়ে সুপারিশ প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, এমপিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান তা নিয়ে যদি প্রচারণায় যান, তবে সমস্যা হবে। এমপিদের সঙ্গেই স্থানীয় প্রশাসনকে কাজ করতে হয়। এমপিরা প্রচারণার সুযোগ পেলে, তখন প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ থাকবে সে প্রশ্ন তোলেন তারা।  

সর্বশেষ খবর