বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে নিহত আরও ১১

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ♦ বন্দুকের ব্যবহার অপ্রয়োজনে হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশের ৯ জেলায় পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনায় একজন করে এবং কুমিল্লা ও নীলফামারীতে দুজন করে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

চট্টগ্রাম : র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদকসম্রাট শুক্কুর আলী নিহত হয়েছেন। পরে র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ওয়ান-শুটার-গান, তিন রাউন্ড গুলি, দুই রাউন্ড খালি খোসা ও ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। সোমবার গভীর রাতে নগরীর বায়েজীদ থানার ডেবারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টির অধিক মামলা রয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আউলিয়া বাজার এলাকার মুকুন্দপুর ভূঁইয়াবাড়ির মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। র‌্যাব অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী চক্র ডেবারপাড়ে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তারা টের পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষায় র‌্যাবও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। চুয়াডাঙ্গা : আলমডাঙ্গা উপজেলার রেলওয়ে স্টেশন রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সাদু (৫০) নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চার পুলিশ আহত হয়েছেন। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) লুত্ফুল কবীর জানান, আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের মৃত ইমদাদুল হকের ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি কামরুজ্জামান সাদু ও তার কয়েকজন সহযোগী রাতে ফেনসিডিল নিয়ে স্টেশন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলিবর্ষণ করেন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান কামরুজ্জামান সাদু।

কুমিল্লা : পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফ ও পিয়ার নামে মাদক ব্যবসায় অভিযুক্ত দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের বিবির বাজার অরণ্যপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মো. শরীফ জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। পিয়ার আলী আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। পুলিশসূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসছে এমন খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ১টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মাদক ব্যবসায়ী শরীফ (২৬), পিয়ার আলী (২৮) ও সেলিম গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার শরীফ ও পিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। দিনাজপুর : বিরামপুরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রবল হোসেন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিদেশি একটি পিস্তল তিন রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ককটেল, ৯২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। গতকাল ভোরের দিকে বিরামপুর পৌরসভার মনিরামপুর মাঠে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রবল হোসেন (৩৫) বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের খলিল হোসেনের ছেলে। বিরামপুর থানার ওসি আবদুস সবুর জানান, গতকাল ভোরে পুলিশের একটি দল পৌরসভার মনিরামপুর মাঠে টহল দিচ্ছিল। ওই সময় ১০-১২ জনের মাদক ব্যবসায়ী তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে প্রবল হোসেন মারা যান। ফেনী : ফেনীতে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সোমবার রাতে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু (৪৯) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। মঞ্জু চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রূপকানিয়া গ্রামের হাজী আবদুল করিমের ছেলে। ফেনীস্থ র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক সাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, সোমবার রাতে র‌্যাব ফেনী ক্যাম্পের একটি দল লেমুয়ায় অভিযান চালায়। এ সময় মঞ্জুর নেতৃত্বে একদল মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে লেমুয়া এলাকায় পৌঁছে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি ছোড়ে। র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে মঞ্জু গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সৈয়দপুরে মাদক নির্মূলে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে দুই মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শহরের উপকণ্ঠে গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন শহরের ইসলামবাগের আবদুল হান্নানের ছেলে শাহিন হোসেন (৩৫) ও নিচু কলোনি এলাকার ইউসুফের ছেলে জনি আহমেদ (৩২)। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাহিন ও জনিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে তাদের নিয়ে ওই এলাকায় মাদক উদ্ধারে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গীরা গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন শাহিন ও জনি। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) : আড়াইহাজারে র?্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু খান (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেট ও বিদেশি অস্ত্র। গতকাল ভোরে আড়াইহাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিমুলতলী বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাচ্চু খান ঢাকার উত্তরার উত্তরখান এলাকার আশরাফ খানের ছেলে। র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধারের জন্য রূপগঞ্জের ৩০০ ফিট এলাকায় র‌্যাব টহল দিচ্ছিল। এ সময় র‌্যাব একটি প্রাইভেট কারকে থামার জন্য সংকেত দেয়। না থামায় উপজেলার শিমুলতলীতে প্রাইভেট কারটি আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা তিন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু নিহত হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ধন মিয়া (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার সোনারামপুরে র‌্যাব-১০ সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ধন মিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব-১০-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা উপজেলার সোনারামপুরে অবস্থান নেন। এ সময় ধন মিয়া মাদকের চালান নিয়ে সেখানে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে থাকেন। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ধন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আমজাদ হোসেন। পুলিশ জানায়, আমজাদের নামে হত্যা, খুন, মাদকসহ মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানে সোমবার রাতে নাগড়া এলাকা থেকে আমজাদকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বড়ওয়ারী এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে সেখানে পুলিশের ওপর হামলা করে সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা। নিহত আমজাদের সহযোগীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

ইয়াবা-গাঁজাসহ গ্রেফতার ১১৩ : রাজধানীতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ইয়াবা, হেরোইন ও গাঁজাসহ ১১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি, র‌্যাব ও ডিএনসি। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ৯১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৯৯ গ্রাম ৫১৫ পুরিয়া হেরোইন, ৯ কেজি ৫২ গ্রাম ১০ পুরিয়া গাঁজা, ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ লিটার দেশি মদ ও ১১৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৩ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তেজগাঁও রেল স্টেশন থেকে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৩ কেজি গাঁজাসহ ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০জনকে এক বছর এবং একজনকে ৬মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে, ডিএনসির এডি (ঢাকা মেট্রো-উত্তর) মো. খোরশিদ আলম জানান, গতকাল মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।

বন্দুকের ব্যবহার অপ্রয়োজনে হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেশজুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখনই হাই-প্রোফাইল মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেছে, তারা হয় পালিয়েছে বা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।’ গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বন্দুকের ব্যবহার অপ্রয়োজনে হচ্ছে না। পুলিশের ওপর অ্যাটাক করলে আত্মরক্ষার্থে কাউন্টার অ্যাটাক করার আইন আমাদের দেশে রয়েছে। সেই ঘটনাটিই ঘটছে। গত কয়েক দিনে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) জানেন, মাদক যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা প্রভাবশালী, শক্তিশালী এবং তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে অবৈধ অস্ত্র সবই আছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করছে বা গোলাগুলিতে লিপ্ত হচ্ছে, তারাই নিহত বা আহত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, চলমান অভিযানে দুই হাজারের বেশি মাদকবাহক ও ছোট ছোট মাদকবিক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অন্তত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এবং চলমান অভিযানে দেশবাসীর সমর্থন চান। তিনি বলেন, ‘২০২১ আর ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, যদি মাদক নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারি, তাহলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ইয়াবা নামে মাদকটি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না। মিয়ানমারও বলে যাচ্ছে, কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল সহযোগিতা যেটা, সেটা তারা করছিল না। সে জন্য ইয়াবার বিস্তৃতি এভাবে ঘটেছে।’ মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকার পরও কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সেই অভিযোগগুলো সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। বদিসহ অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে আপনাদের কাছেও কোনো তথ্য থাকলে আমাদের দিন। বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্যপ্রমাণ নেই।’

প্রসঙ্গত, মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত চার দিনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, অভিযানের সময় গুলির মুখে পড়ে তারা পাল্টা গুলি চালানোয় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

সর্বশেষ খবর