বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্লু ইকোনমিতে বিশাল সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্লু ইকোনমিতে বিশাল সম্ভাবনা

আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশাল সমুদ্র সীমার অধিকারী। এ সমুদ্র সীমায় বিপুল পরিমাণ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাদ্য, তেল, গ্যাসসহ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এটি দেশের ব্লু ইকোনমিক সম্প্রসারণে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। এসব প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে বিদেশি বিনিয়োগের  চমৎকার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৬ প্রদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৬ প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি মনোনীতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলো—বৃহৎ শিল্পে ফারিহা স্পিনিং মিলস, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও এনভয় টেক্সটাইল লি.। মাঝারি শিল্পে বিআরবি পলিমার লিমিটেড, চিটাগাং ডেনিম মিলস লি. ও বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লি.। ক্ষুদ্র শিল্পে রানার অটোমোবাইল লি., অকো টেক্স লি. ও মেসার্স আবুল ইন্ডাস্ট্রিজ। মাইক্রো শিল্পে স্মার্ট লেদার প্রোডাক্টস। কুটির শিল্পে কারুপণ্য। হাইটেক শিল্পে সুপার স্টার ইলেকট্রিকাল এক্সেসরিজ লি. ও সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড। রাষ্ট্রপতি বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। বেশ কিছু সূচকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস ও দুর্যোগ মোকাবিলায় অর্জিত সাফল্য গোটা বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, এটা দৃশ্যমান, বাস্তবতা। এ ছাড়া সরকার পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে। ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উেক্ষপণসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ১৯৫৬-৫৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিল্পমন্ত্রী থাকাবস্থায় এ অঞ্চলে শিল্পায়নের ধারা বেগবান করার উদ্যোগ নেন। এ জন্য তিনি পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন প্রতিষ্ঠান করেন। যা এখন বিসিক নামে পরিচিত। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে। যার ধারাবাহিকতায় সঞ্চয় বিনিয়োগে ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশব্যাপী ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। যার মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আরও ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের টার্গেট রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি। আগামী ২০২১ সালে দেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর