বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

খুলনার নির্বাচনকে নতুন মডেল বলা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার নির্বাচনকে নতুন মডেল বলা যায়

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে একটি নতুন মডেলের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করা যায়। নির্বাচনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া বা সহিংসতা হয়তো ততটা দেখা যায়নি কিন্তু ভিতরে ভিতরে নানা ধরনের অনিয়ম ঠিকই হয়েছে। ভোটারদের এক ধরনের ত্রাসের মধ্যে রাখা হয়েছিল। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন  তিনি। ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক)। এ সময় সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বক্তব্য দেন। ড. তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন তারাও তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারেননি। কারণ তাদের সরকারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন করে সংস্থা চালাতে হয়। তবে মিডিয়া এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। মিডিয়ার কারণেই মানুষ কিছু জানতে পেরেছে। কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে খুলনা সিটির নির্বাচনটা ছিল নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা পরীক্ষা। সে পরীক্ষায় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তৃতীয় বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। নির্বাচনে যতটা সাহস দেখানোর প্রয়োজন ছিল কমিশন তা দেখাতে পারেনি। তাই তারা যে জাতীয় নির্বাচনে সাহস দেখাতে পারবে তা মানুষ বিশ্বাস করবে না। সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেসব প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন; নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে তার জন্য কারও অভিযোগ দায়ের করার অপেক্ষা না করে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়াটা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

কিন্তু তা আমরা তাদের করতে দেখিনি, যা সত্যিই হতাশাজনক। সুজন সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুজন নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ না করলেও পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছে। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, তথা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কমিশন প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেনি। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী কর্তৃক হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যের বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপকুমার সরকার। নবনির্বাচিত প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৯ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৮ জনেরই (৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ১৫ জন (৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ)। ৩৯ জন নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৭ জন (১৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেননি।

সর্বশেষ খবর