সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
কুড়িগ্রামের ধরলা সেতু উদ্বোধন

মাদকের বিরুদ্ধে চাই সামাজিক আন্দোলন : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

মাদকের বিরুদ্ধে চাই সামাজিক আন্দোলন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধরলা সেতু উদ্বোধন করেন

জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে  সোচ্চার থাকতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই সম্মিলিতভাবে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। মাদকের বিরুদ্ধেও এ ধরনের আন্দোলন গড়ে উঠবে তা আমরা চাই।

শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা আবারও উল্লেখ করে বলেন, দেশ থেকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ যেমন দূর করতে যাচ্ছি, মাদকও আমরা দূর করতে চাই। এ জন্য সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে  তোলা দরকার। সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। 

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে সমৃদ্ধি সম্ভব :  সরকারের ধারাবাহিকতা ও আন্তরিকতা থাকলে দেশের সমৃদ্ধি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর ওপর ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য এই সেতুটি আমার পক্ষ থেকে ঈদের উপহার। আপনারা এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবেন, দেখেশুনে রাখবেন। স্বাধীনতার পর পর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সচেষ্ট ছিলেন। পরে জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু কেউ ছিটমহল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেননি। দীর্ঘদিন পর ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছিল, কিন্তু কোনো সরকার ভারতের কাছে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের দাবি জানায়নি। আমরা সে সমস্যার সমাধান করেছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিআইডব্লিউটিসির চারটি ১৫৮ টিইইউ সেলফ প্রোপেল্ড মাল্টিপারপাস ইনল্যান্ড কনটেইনারবাহী জাহাজ, মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর চারটি আট ইঞ্চি কাটার সাকশন এম্ফিবিয়ান ড্রেজার উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনাকে ট্রুডোর আমন্ত্রণ: কুইবেকে অনুষ্ঠেয় জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ  দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গতকাল ঢাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ৯ জুন কানাডায় জি-সেভেন সম্মেলনের আউটরিচ সেশন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।

এতে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান ও  বেশ কয়েকটি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এবারের সেশনের প্রতিপাদ্য হলো, ‘জীবনের জন্য অপরিহার্য সমৃদ্ধ মহাসাগর, সাগর ও উপকূল’। কানাডা ছাড়া জি-সেভেনের বাকি ছয় সদস্য দেশ হলো— ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়া জি-সেভেন সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে— জি টোয়েন্টি জোটের বর্তমান সভাপতি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাক্রি, হাইতির প্রেসিডেন্ট ও ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (ক্যারিকম) সভাপতি জোভেনেল মইস, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী এন্ড্রিউ হোলনেস, কেনিয়ার  প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনইয়াত্তা, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়েন জুয়ান ফুক, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড ও অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাসচিব হোসে এঞ্জেল গুরিয়া।

সর্বশেষ খবর