সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুর খাতায় নাম লিখে ফেললো দেরাদুন। ভারতের সামরিক প্রশিক্ষণ শহরটি বিখ্যাত আবার সুগন্ধি বাসমতি চালের জন্য। পরিচিত শহরটি ভারতীয়দের কাছে যতটা পরিচিত, ঠিক ততটাই অপরিচিত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে। গতরাতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারল ৪৫ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজ জেতার এখনো সম্ভাবনা রয়েছে সাকিব আল হাসানদের। এজন্য পরবর্তী ম্যাচ দুটি জিততে হবে টাইগারদের।

দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে। শুধু তাই নয়, এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে টি-২০ ম্যাচটি খেলেছিল টাইগাররা, সেটাও জিতেছিল। এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে সাকিব বাহিনী টস জিতে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় আফগানদের। দেরাদুনের ধীরগতির উইকেটকে কাজে লাগিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান করে নবাগত টেস্ট খেলুড়ে দেশটি। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩৬ রান করেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারী। টাইগারদের সফল বোলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মাত্র এক ওভার বোলিং করে এক রানের খরচে নেন ২ উইকেট। অথচ অধিনায়ক সাকিব তাকে আর বোলিং করাননি। যেখানে আবুল হাসান রাজু ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪০ রান, আবু জায়েদ ৩ ওভারে ৩৪ রান, বাঁ হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু দিয়েছেন ৪ ওভারে ৩২ রান। সাকিব অবশ্য ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন একটি। আর একটি উইকেট পেলেই শহীদ আফ্রিদি ও জ্যাক ক্যালিসের পর তৃতীয় ক্রিকেটার  হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট ও ১০ হাজার রানের মাইলফলক গড়তেন।

সিরিজে পিছিয়ে যাওয়া ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে রান করেছেন ১৫। ১৬৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথম বলে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে ব্যর্থ হয় পুরোপুরি। লেগ স্পিনার রশীদ খান, শাপুর জারদান ও মোহাম্মাদ নবীর ত্রিমুখী আক্রমণে বেসামাল হয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১২২ রানে। তখনও এক ওভার বাকি ছিল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৯ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ১৪ রান। রশীদ ১৩ রানে ৩টি ও জারদান ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট।          

সর্বশেষ খবর