শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কণ্ঠভোটে নির্দিষ্টকরণ বিল পাসের মধ্য দিয়ে নতুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। বৈষম্য দূর করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন নিতে নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০১৮ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিতে তা পাস হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্পিকারের অনুমতি নিয়ে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যদের সবাইকে  বাজেটোত্তর নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এর আগে মঞ্জুরি দাবির ওপর আলোচনার সুযোগ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা শিক্ষা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যর্থতা, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সংকট, দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতির অভাব ও রেল খাতের অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। গতকাল সকালে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সরকারি ও বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে ৪৪৮টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনা হয়। সরকারি ও বিরোধী দলের হুইপের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী পাঁচটি মঞ্জুরি দাবি আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। এ আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, নূরুল ইসলাম ওমর, মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী, নূরুল ইসলাম মিলন, সেলিম উদ্দিন ও বেগম রওশন আরা মান্নান এবং স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা শেষে দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এ বাজেট পাস হয়। এর আগে আলোচনা শেষে মঞ্জুরি দাবিগুলো কণ্ঠভোটে সংসদে গৃহীত হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী ‘নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০১৮’ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিতে তা পাস হয়। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের এটি শেষ বাজেট। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের টানা দশম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি দল ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে বাজেট বাস্তবায়নের যাত্রাকে স্বাগত জানান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৭ জুন জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা ১০ জুন শুরু হয়। ২৭ জুন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাধারণ আলোচনা শেষ হয়। প্রায় ৪৫ ঘণ্টার এ আলোচনায় সরকারি দলের ১৬৫ জন ও বিরোধী দলের ৪২ জন সদস্য অংশ নেন। গতকাল সকালে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থ বিভাগ খাতে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহে রাষ্ট্রপতিকে অনধিক ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মঞ্জুরের প্রস্তাব করেন। এ সময় ৮৫ বছর বয়সী প্রবীণ এই রাজনীতিক এটিসহ তার দেওয়া সব বাজেটকে নির্বাচনী বাজেট আখ্যা দিয়েছেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের বাইরে নিজ দল আওয়ামী লীগ, এমনকি মন্ত্রিসভার সহকর্মীরাও মুহিতের সমালোচনা করেছেন। বাজেট প্রস্তাবের পর সংসদ ও সংসদের বাইরে আলোচনা ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সংশোধনী এনে বুধবার অর্থবিল, ২০১৮ পাস করা হয়।

সংসদে পাস হওয়া ৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দের নির্দিষ্টকরণ বিলটিই মূলত গ্রস বাজেট। বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও অন্যান্য খাতে বাজেটে সরকারের অর্থ বরাদ্দের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ কখনো ব্যয় হয় না, যা বাজেটের আয়-ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে হিসাব মেলানো হয়। এই বাধ্যবাধকতার কারণে এবারের বাজেটেও ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা ব্যয় হবে না। অর্থমন্ত্রী ৭ জুন জাতীয় সংসদে যে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছেন, সেটিই ব্যয় হবে। সেটিই আগামী অর্থবছরের নিট বাজেট। এ বাজেটে ব্যয়ের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। ফলে এ বাজেটে ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে অনুদানসহ মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর খাতের আয় ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত রাজস্ব ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

 

নির্দিষ্টকরণ বিল পাসের মাধ্যমে সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত ৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার টাকার মধ্যে সংসদের ওপর দায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এই টাকা অনুমোদনের জন্য কোনো ভোটের প্রয়োজন হয় না। সরাসরি সংসদ এ টাকা অনুমোদন করে। অবশিষ্ট ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ভোটের মাধ্যমে সংসদে গৃহীত হয়।

এ বাজেটে ব্যয়ের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। ফলে এ বাজেটে ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে অনুদানসহ মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।

খাতওয়ারি বরাদ্দ : বাজেটে খাতওয়ারি বরাদ্দের মধ্যে অর্থ বিভাগের ব্যয় ২ লাখ ২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে কম রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। এ খাতে ব্যয় ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত ব্যয় পর্যায়ক্রমে হচ্ছে প্রতিরক্ষায় ২৯ হাজার ৬৬ কোটি টাকা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে ২৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। অন্য খাতের ব্যয়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ খাতে ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খাতে ২ হাজার ৮০১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ১৫৭ কোটি, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১ হাজার ৮৯৫ কোটি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৬৬২, সরকারি কর্মকমিশন খাতে ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থ বিভাগ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয় খাতে ২১৫ কোটি, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ২ হাজার ৪২৬ কোটি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ২ হাজার ৬৬২ কোটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ খাতে ১৩ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। পাশাপাশি পরিকল্পনা বিভাগে ১ হাজার ৩৮০ কোটি, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে ১৩৫ কোটি ৫৮ লাখ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫৯৯ কোটি ৬২ লাখ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৫৫৫ কোটি ৫৩ লাখ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৭৫ লাখ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ, আইন ও বিচার বিভাগে ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ধরা হয়। জননিরাপত্তা বিভাগে বরাদ্দ ২১ হাজার ৪২৬ কোটি ৩৫ লাখ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ৩৪ কোটি ৭৭ লাখ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২২ হাজার ৪৬৬ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ২৪ হাজার ৮৯৬ কোটি ১৭ লাখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খাতে ১২ হাজার ২০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৮ হাজার ১৬৬ কোটি ৩১ লাখ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৬৮১ কোটি ১০ লাখ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৫ হাজার ৫৯৩ কোটি ৭ লাখ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি ১৬ লাখ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খাতে ২২৭ কোটি ১ লাখ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় খাতে ৪ হাজার ৯৬৪ কোটি ৫৫ লাখ, তথ্য মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫১০ কোটি টাকা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ কোটি ২২ লাখ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ১৪ লাখ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে ২ হাজার ২০৯ কোটি ৯০ লাখ, শিল্প মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৫৭ লাখ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ৭৩৮ কোটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ১ হাজার ৯৮৪ কোটি ৬২ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয়ে ১৩ হাজার ৯১৪ কোটি ৬৬ লাখ এবং মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ২৭১ কোটি, ভূমি মন্ত্রণালয় খাতে ২ হাজার ১২০ কোটি ৫৫ লাখ ১২ হাজার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৭ হাজার ৯২ কোটি ৮০ লাখ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ১৬ হাজার ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ২৪ হাজার ৩৮০ কোটি ২৪ লাখ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৪ হাজার ৬৩৮ কোটি ২৬ লাখ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি ৭৪ লাখ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৫০৭ কোটি ৯১ লাখ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি ৬৭ লাখ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৩০৯ কোটি ১৩ লাখ ৪৪ হাজার, বিদ্যুৎ বিভাগে ২২ হাজার ৯৩৫ কোটি ৮৬ লাখ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৭০ লাখ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৫৯৫ কোটি ২৫ লাখ, দুর্নীতি দমন কমিশন খাতে ১১৭ কোটি ৪৭ লাখ এবং সেতু বিভাগে ৯ হাজার ১১৪ কোটি ২ হাজার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ৫ হাজার ৭০২ কোটি ৩৭ লাখ, সুরক্ষা সেবা খাতে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২২৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর