শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাতীয় ঐক্য সফল হলে সরকার তিন দিনও টিকবে না : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের (বিএনপি) উদ্যোগে শুরু হওয়া জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া সফল হলে সরকার তিন দিনও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটি আন্দোলন ও জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা। আমরা এরই মধ্যে জাতীয় ঐক্যের কাজ শুরু করেছি। কাজ চলছে। আমরা আশা করি, এটাতে সফল হওয়া যাবে। আজ সবাই সচেতন হয়ে উঠেছেন। দেশে যে অবস্থা চলছে তা চলতে দেওয়া যায় না। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সবারই একটা ঐক্য দরকার। আর এটাতে যদি সফল হওয়া যায়, ইনশা আল্লাহ আওয়ামী লীগ তিন দিনও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’ সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুবদল দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ নেতা বক্তব্য দেন। সমাবেশে দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত হয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিতে বলেন বিএনপি মহাসচিব। ‘কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আর ঘরের ভিতরে নয়, সাহস করে নামুন। রাজপথে যু্বক-তরুণদের জমায়েত বাড়াতে হবে। নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হোন, সংগঠন শক্তিশালী করুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য তৈরি হোন।’ গাজীপুর নির্বাচনে ভোটের ফলাফলের পরও কেন অন্য তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া হচ্ছে— এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এ দুটি নির্বাচন (খুলনা ও গাজীপুর) হওয়ায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। তার প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচন মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ফলে এটা হচ্ছে আমাদের অ্যাচিভমেন্টস। দেশের মানুষ জানতে পারছে এ সরকারের অধীনে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুতরাং আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। এতে বহির্বিশ্বেরও সমর্থন আসবে।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এখন দলের মধ্যে দুই দিন পরপর কমিটি দিয়ে দিচ্ছে। সম্মেলন ছাড়া কমিটি দেয় কীভাবে? সব অঙ্গসংগঠন থেকে কমিটি দেওয়া-নেওয়ার প্রথা উঠিয়ে ফেলতে হবে। কমিটি হতে হবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে। গণতান্ত্রিকভাবে কমিটি বা সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি যদি খারাপও হয় তা যে কোনো পকেট কমিটির চেয়ে অনেক ভালো।’ তিনি বলেন, এ সরকারের সময় দলের সম্মেলন করতে দিচ্ছে না। যদি সম্মেলন করতে না দেওয়া হয় আমরা অত্যন্ত কৌশলীভাবে আলোচনা করে কমিটি করতে পারি। দলের সর্বস্তরের এটা করতে হবে। যদি সব কমিটি এভাবে করতে পারেন তাহলে এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না।

সর্বশেষ খবর