জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও কর্তাব্যক্তিরা সরেজমিন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এটা কোনো দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নয়, বরং বৈশ্বিক সংকট। তাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশ্বজনীন সংস্থাগুলোর প্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে ‘কনভিন্স’ (যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে সমতে আনা) করে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন। সরকারের করণীয় বিষয়ে এই কূটনীতিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব নিজের চোখে দেখেছেন রোহিঙ্গা সমস্যা কী আকার ধারণ করেছে। তিনি হয়তো একা সমাধান করতে পারবেন না। কিন্তু তার সাহায্যে রাশিয়ান ফেডারেশন ও গণচীনকে এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে নিয়ে আসতে কাজ করতে পারে সরকার। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আলোচিত বিষয়, তাদের মতামত ও সিদ্ধান্তগুলো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সমর্থন আদায়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠাতে হবে। বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়াই হবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিশ্বনেতারা আমাদের দেশে এসেছেন এটা আমাদের জন্য গর্বের। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। এ ইস্যুকে বিশ্বজনীন ইস্যুতে পরিণত করে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারকে কাজ করতে হবে।’