শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

সব দাবি মেনে নিল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব দাবি মেনে নিল সরকার

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চার দিন ধরে রাজধানীজুড়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী তৎপর হয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে জানিয়েছেন, আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সব দাবি তারা মেনে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে গতকালই সড়ক পরিবহন আইন চূড়ান্ত ভেটিং দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। ছাত্রবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের আরও দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব, সরকার ব্যবস্থা নেবে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা কোনোক্রমেই লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিটবিহীন যানবাহন চলতে দেব না।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুপুরে সেতু ভবনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আগামী সপ্তাহে প্রস্তাবিত সড়ক নিরাপত্তা আইন অনুমোদনে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। আশা করি দুই মাসের মধ্যে আইনটি সংসদে পাস হবে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গতকালই রবিবারের সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত জাবালে নূর পরিবহনের দুই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। এ দুটি গাড়ির রুট পারমিট ছিল না। আর রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশকে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন তিনি।

বাসচাপায় সহপাঠী হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসা ছাত্রদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের সব মহল থেকে। অনুরোধ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের বলা হয়েছে রাজপথ ছেড়ে ঘরে ও ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য। তাদের সহপাঠী হারানোর বিষয়টি সরকারকে মর্মাহত করেছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী দুঃখ ও ক্ষমা প্রকাশ করেছেন। সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।

চূড়ান্ত ভেটিং শেষে আইন এখন সড়ক মন্ত্রণালয়ে : সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়া সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি এতে থাকছে লাইসেন্স পেতে শিক্ষার শর্ত, ফোন কানে গাড়ি চালালে শাস্তির বিধান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গতকালই আইনটি চূড়ান্ত ভেটিং শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ভেটিংয়ের বিষয়ে দুপুরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সড়ক পরিবহন আইনের ভেটিং সম্পন্ন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। ভেটিং সম্পর্কিত নথি অনুমোদন শেষে আইনের খসড়াটি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নিজের স্ত্রীকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি সড়ক দুর্ঘটনা বা রেল দুর্ঘটনায় স্বজনকে হারিয়ে একটি পরিবার কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা আমি বুঝি।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যা যা করা দরকার তার সবই করা হয়েছে। এ আইন অত্যন্ত আধুনিক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ বৈঠক : এর পরপরই দুপুরে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং অচলাবস্থা নিরসনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে একটি দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা ও পরিবহন মালিক নেতা এনায়েত উল্লাহসহ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চার দিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানাব, তোমাদের যে সমবেদনা, সারা দেশে এই মেসেজ পৌঁছে গেছে। আমরাও ব্যথিত। আমাদের প্রিয় ছেলেমেয়েরা অকালে বিদায় হয়েছে, সেজন্য আমরাও ব্যথিত। তোমাদের দাবি সবই মানা হয়েছে। বিভিন্নভাবে দাবিদাওয়া আমাদের কাছে পৌঁছেছে। আমরা সব মেনে নিয়েছি। সবই মনে হয় যৌক্তিক। যারা অন্যায় করেছে, যারা ঘাতক, আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে তারা পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করছি।’ তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘অভিভাবক, শিক্ষক যারা আছেন, তাদের বলছি, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েদের ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করুন, তারা যেন ক্লাসরুমে ফিরে আসে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জনদুর্ভোগ তৈরি হচ্ছে, সারা শহর অচল হয়ে যাচ্ছে, এটা কারও কাম্য নয়। আমাদের প্রিয় ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেরা অবরোধ তুলে নেবে, এ অনুরোধ আমরা জানাচ্ছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রাজপথে বিক্ষোভ করছে, তারাও ভাঙচুরের পক্ষে নয়। কিন্তু গত চার দিনে মোট ৩০৯টি গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছে, আটটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৯ তারিখ তারা ১৫০টি গাড়ি ভেঙেছে, ৩০ তারিখে ২৫টি গাড়ি ভেঙেছে এবং ৩১ তারিখে ১৩৪টি গাড়ি ভেঙেছে। এই যে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা অবরোধ করছে, একে কাজে লাগিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল নতুন করে জ্বালাও-পোড়াও ও গাড়ি ভাঙছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দোষীদের সর্বেচ্চ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব, সরকার ব্যবস্থা নেবে। পর্যায়ক্রমে আমরা সব ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনোক্রমেই সড়কে লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিটবিহীন যানবাহন চলতে দেব না।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিন দিন হয়ে যাচ্ছে আমাদের সন্তানেরা রাস্তায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চান, আমাদের প্রিয় সন্তানেরা রাস্তা থেকে ফিরে আসুক। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক।’

আমরাও মর্মাহত, তোমরা সময় দাও : সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে সেতু ভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটনায় তিন দিন ধরে রাজধানীতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তাদের আবেগের পেছনে বাস্তব কারণ আছে। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী এবার নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। সড়ক পরিবহন আইন পাস হলে লাগাম টেনে ধরার জন্য আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কালকে তো আসলে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাস্তায় বেরিয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ইমোশন কাজ করছিল। এর বাস্তব কারণও ছিল। দুজন সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী রাস্তায় মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে এমন বিক্ষোভ অনৈতিক বলে আমি মনে করি না। কারণ এ ধরনের বিক্ষোভ হতেই পারে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করার যৌক্তিকতা আছে। এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে। প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত। আমরা সবাই নিহতদের জন্য কষ্ট পেয়েছি। এর পরও আমি শিক্ষার্থীদের বলব, একটু ধৈর্য ধর, সময় দাও।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর নৌপরিবহনমন্ত্রীকে ডেকে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য দিয়েছেন।

তাকে অনেক কিছু বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য দেওয়ার পর এ ব্যাপারে আমাদের আর কথা বলা ঠিক নয়।’

জাবালে নূরের রুট পারমিট বাতিল : বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় রবিবার জাবালে নূর পরিবহনের যে দুটি বাস দুই শিক্ষার্থীকে পিষে মেরেছিল, সেই দুটি বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিআরটিএ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা ওই দুটি বাসের রুট পারমিটই ছিল না।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জানান, ইতিমধ্যে বাস দুটির রুট পারমিট ও নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছেন। পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার পরিবহনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম নোমানকে র?্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

পুলিশকে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা : এদিকে রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশকে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন তিনি। ডিএমপির দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএমপি কমিশনার পুলিশকেও সাবধানে থাকতে বলেছেন। খালি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করেছেন। মালপত্র বা খাবার বহনকারী পুলিশের গাড়িকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যেতে বলেছেন। ডিএমপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল দুপুরে বৈঠক করেন কমিশনার। ওই সময় তিনি দুর্ঘটনাটিকে দুঃখজনক এবং পরবর্তী পরিস্থিতিকে নৈরাজ্য বলে উল্লেখ করেন। ঘটনা মোকাবিলায় পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তিনি। পুলিশের সব বিভাগকে যৌথভাবে মাঠে একসঙ্গে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে বলেছেন। শক্তি প্রয়োগ না করে জনদুর্ভোগ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে শিক্ষার্থীদের তা বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করতে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম (১৬) নিহত এবং নয়জন আহত হন। ওই দুর্ঘটনার পর চার দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— ১. বেপরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে; ২. নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে; ৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে; ৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার দিতে হবে; ৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে; ৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে; ৭. শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে; ৮. রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ করতে হবে; ৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর