সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

আন্দোলনে নানামুখী তৎপরতা

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল-সমাবেশ, হামলা টিয়ার গ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্দোলনে নানামুখী তৎপরতা

ধানমন্ডিতে এপির ক্যামেরাম্যানের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের টিয়ারগ্যাস —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নানামুখী তৎপরতা দেখা গেছে গতকাল। ধানমন্ডি ও রাজধানীর কিছু এলাকায় কতিপয় দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে দুই দলের সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় দফায় দফায় টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ। তবে এদিন স্কুল শিক্ষার্থীদের তেমন একটা দেখা যায়নি। মাঠে ছিলেন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল করলেও কোনো সহিংসতা এবং নাগরিক হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেননি। অন্যদিকে পুরো রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ হলেও কোনো অঘটন ঘটেনি। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মিরপুর, উত্তরা, কুড়িল, মহাখালীতে দিনের বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রামপুরা ও উত্তরায় আওয়ামী লীগের মিছিলে ধাওয়া করেন শিক্ষার্থীরা। মিরপুরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। তাতে সংহতি জানান বিজনেস অনুষদের শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে একটি অংশ মিছিল করে সায়েন্সল্যাব ও ঝিগাতলায় যান। বেলা ১টার দিকে দুই-তিন হাজার শিক্ষার্থী ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে ধানমন্ডির ঝিগাতলার দিকে মিছিল নিয়ে যান। মিছিলটি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে গেলে সেখানে অবস্থান নেওয়া পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের অনেকের হাতে লাঠি ও অনেকের মাথায় হেলমেট পরে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ থেকে ২৫টি টিয়ার শেল ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, ঝিগাতলায় তাদের অবস্থানের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তারা ঝিগাতলা থেকে ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে ঝিগাতলায় মিছিল থেকে একটি অংশ পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিলটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে বেলা ২টার দিকে ধানমন্ডি ২ নম্বরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। হেলমেট পরে ও লাঠি হাতে নিয়ে একদল দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় সেখানে কর্তব্যরত গণমাধ্যম কর্মীরাও রেহাই পাননি তাদের হাত থেকে।

অবস্থান নিতে পারেনি মিরপুরে : গত কয়েক দিনের ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল মিরপুর গতকাল অনেকটাই শান্ত। সকালে শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১ এর গোল চত্বরে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরে মিরপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোত পুলিশ অবস্থান নেয়। এ ছাড়া বেলা ১১টার দিকে মিরপুর-১ এ যুবলীগ-ছাত্রলীগের শতাধিক কর্মী সতর্ক অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টা হিসেবে অঘোষিত ধর্মঘটে থাকা পরিবহন শ্রমিকদেরও মিরপুরে সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ২ নম্বরে যাওয়ার সড়কের মাথায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। সেখানে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র আছে কি না— তা পরীক্ষা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এ ছাড়া রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতে দেখা গেছে। মিরপুর শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ফটক বন্ধ ছিল। কোনো শিক্ষার্থী বের হয়নি।

রামপুরা-উত্তরায় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া : বেলা পৌনে ১টার দিকে রামপুরা ও উত্তরায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটি মিছিলে ধাওয়া দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে রামপুরা ব্রিজ ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পিরিয়াল কলেজ, খিলগাঁও ওমেন্স স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বাড্ডা লিংক রোডে অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডা থেকে আওয়ামী লীগের মিছিল রামপুরার দিকে এগিয়ে এলে তাতে ইটপাটকেল ছুড়ে ধাওয়া দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে নেতা-কর্মীরা আশপাশের অলি-গলিতে ছড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তারা নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রায় একই সময়ে রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলার চেষ্টা করে। এ সময় আইইউবিএটি, উত্তরা হাইস্কুল, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী একজোট হয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। পালানোর সময় কয়েকজনকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ নেতাদের ফেলে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে লোহার পাইপ, রড, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে বারিধারা নর্দা এলাকায় দিনভর বিক্ষোভ করতে থাকেন নর্থ সাউথ ও ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ফলে বন্ধ থাকে ওই সড়কের সব ধরনের যান চলাচল। এ সময় পুলিশকে সতর্কাবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ঢাবিতে মানববন্ধন : শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ও মার্কেটিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। মানববন্ধনে সংহতি জানান বিজনেস অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও। রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সকালে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে একই দাবিতে মানববন্ধন করে আরেক দল শিক্ষার্থী।

হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সাদা দলের বিবৃতি : নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর রাজধানীর জিগাতলা ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আখতার হোসেন খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিটিতে বলা হয়, ‘আমরা শঙ্কিত, বেদনাহত এবং ক্ষুব্ধ। আন্দোলনরত স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। কমবয়সী এসব শিক্ষার্থীর ওপর যে নির্মম ও বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে— আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সহিংসতা যেমন আমাদের কারোরই কাম্য নয়, তেমনি দমন-পীড়ন-সন্ত্রাসী হামলাও অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর অবসান হওয়া উচিত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় নির্যাতন-নিপীড়ন করে কখনো কোনো যৌক্তিক আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়া যায় না। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

বিভিন্নস্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো আরও খবর—

বরিশাল : নিরাপদ সড়কের দাবিতে বরিশালে গতকালও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় তারা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করেন। শুধু বরিশাল নগরীতেই নয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

খুলনা : গতকালও খুলনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এতদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করলেও এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। দুপুর ১২টা থেকে মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ীর মোড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর ২টার মধ্যে সেখানে সড়কে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। আন্দোলনে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।

দিনাজপুর : নিরাপদ সড়কের দাবিতে গতকাল দিনাজপুরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

চাঁদপুর : চাঁদপুরে আন্দেলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকাল পুলিশের ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ছাত্ররা চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে জমায়েত হতে থাকেন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে তারা মহিলা কলেজের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পরে পুলিশ বুঝিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ছাত্ররা পুনরায় হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে একত্রিত হয়ে দুপুরে মিছিল করার চেষ্টা করলে তারা আবারও পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। তখন তারা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন।

টাঙ্গাইল : নিরাপদ সড়ক এবং নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ নয় দফা দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের নগর জলফৈ মোড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে।

ইবি : নিরাপদ সড়ক ও আন্দলোনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

জাবি : শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল ছাত্র ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় বের হয় বিক্ষোভ মিছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এই বিক্ষোভ মিছিলে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, টারজান পয়েন্ট, ফয়জুন্নেসা হল, চৌরঙ্গী, পুরাতন কলা ভবন, মেডিকেল চত্বর, ট্রান্সপোর্ট চত্বর, নতুন কলা ভবন, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগার, মীর মশাররফ হোসেন হল, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পেরিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা মিছিলটি পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

হবিগঞ্জ : গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জ টাউন হল প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ৩য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সবদলীয় শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির স্টুডেন্ট কেবিনেট সভাপতি আবুবক্কর সানির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মেহেদী হাসান ছাত্রের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করে ইফাজ, সৈকত মিয়া, মাহারী প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর