বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

চার্জশিট গ্রহণ হলি আর্টিজান মামলার

হাসনাতকে অব্যাহতি পলাতকদের পরোয়ানা

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

গতকাল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কিনা সে বিষয়ে আগামী ১৬ আগস্ট পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জঙ্গিরা ছয় মাস পরিকল্পনা শেষে ওই হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা ও বাংলাদেশকে ‘জঙ্গিরাষ্ট্র’ বানানো। জীবিত আট আসামির মধ্যে যে ছয়জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগর। এ ছাড়া চিহ্নিত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গ্রেফতার ছয় আসামির মধ্যে গতকাল জাহাঙ্গীর ছাড়া সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে জাহাঙ্গীরকে কেন আদালতে আনা হয়নি সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা জানতে চান বিচারক। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. গোলাম সারোয়ার খান এবং ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার। তারা সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এ মামলা বিচারের জন্য গত ৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ আইনের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ২১১ জনকে। তার মধ্যে ১৪৯ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ওই ঘটনা সম্পর্কে জানেন বলে পুলিশের ভাষ্য। এর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। রাতভর উৎকণ্ঠার পরদিন ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সংকটের অবসান ঘটে। কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর