রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

তফসিলের আগে সংলাপে বসুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

তফসিলের আগে সংলাপে বসুন

একাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংলাপ চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন যদি নির্বাচনে না হয় তাহলে সেটা  কোনো নির্বাচন নয়। সে নির্বাচন হতে হলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে  হবে। অন্যান্য ন্যায্য দাবি মানতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে। এর পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। এরপর নির্বাচন।’ নইলে কোনো ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নজরুল ইসলাম খান। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উত্তর শাখার সভাপতি জুলফিকার মতিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য দেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। একই খেলা বার বার হয় না। কাজেই সরকারকে বলতে চাই,  সম্মানজনক নিষ্ক্রমণের পথ, সম্মানজনকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পথ একটাই অবশিষ্ট আছে। সেটা হলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, রাজবন্দীদের মুক্তি দিন, যেসব শিশু-কিশোরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রেখেছেন তাদের মুক্তি দিন।’ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগের জবাব দেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এক বক্তব্যে স্বাধীনতার কথা বলেছেন যে, ফিরিয়ে আনতে হবে। এ কথার অর্থ এই নয় যে, আবার একাত্তর সালের মতো লড়াই করে ওই রকম স্বাধীনতা আমাদের আনতে হবে। বুঝতে হবে আপনাকে রাজনীতির ভাষা। এই স্বাধীনতার মানে হলো আপনার রাজনীতি করার স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বাধীনতা, সুন্দর, সুস্থ ও নিরাপদে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। অর্থাৎ স্বাধীনতা বলতে যা বোঝায়। আসলে স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না এটা স্বাধীনতা নয়। সেই কারণে বলেছেন তিনি এ কথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন এটা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়?’ ২০০৭ সালে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তিনি ওই সময় বলেছিলেন, বঙ্গভবনের অক্সিজেন বন্ধ করে দেবেন। অক্সিজেন বন্ধ হলে মানুষ বাঁচে? বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন, সামরিক-বেসামরিক সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। এখন কি আমরা বলব যে তিনি তাদের হত্যা করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর