শিরোনাম
সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও

রোহিঙ্গা নিপীড়ন ঘৃণ্য জাতিগত নিধন

প্রতিদিন ডেস্ক

রোহিঙ্গা নিপীড়ন ঘৃণ্য জাতিগত নিধন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে সহিংসতা চালানো হয়েছে তা এক ‘ঘৃণ্য জাতিগত নিধনের ঘটনা’। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাবে। খবর : রয়টার্সের।

রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার এক বছর পূর্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত শনিবার এ বক্তব্য দেন। টুইটার বার্তায় পম্পেও লিখেছেন, “এক বছর আগে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বার্মার নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ‘ঘৃণ্য জাতিগত নিধনের’ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র চালিয়ে যাবে।” পম্পেও মিয়ানমারকে তার আগের নাম ‘বার্মা’ দিয়েই সম্বোধন করেছেন। ১৭ আগস্ট প্রকাশিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়ও বার্মা ব্যবহার করা হয়েছিল মিয়ানমারের বদলে।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা নিপীড়নের দায়ে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ১৭ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওই নিষেধাজ্ঞার ভাষা নিয়ে রয়টার্সের পর্যবেক্ষণ ছিল— রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ (ক্রাইম এগেইন্সট হিউম্যানিটি) বা ‘গণহত্যা’ (জেনোসাইড) হিসেবে আখ্যায়িত করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যার মতো অভিধা ব্যবহার করলে তা যুক্তরাষ্ট্রকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপে নেওয়ার দিকে ধাবিত করবে। এমন কি হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চালানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে হতে পারে তাদের। এতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির দূরত্ব তৈরি হবে এবং মিয়ানমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকে ঝুঁকে পড়বে। ২৬ আগস্ট পম্পেওর টুইটার বার্তায়ও গণহত্যা (জেনোসাইডের) কোনো উল্লেখ নেই। তবে এখন সেই অবস্থানের কিছুটা পরিবর্তন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্বশেষ মন্তব্য তুলে ধরলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর