ছয় বছরের পুরনো ছবি। তবুও স্মৃতিতে তরতাজা। মনে হয়, এই তো সেদিনকার তোলা। মিরপুর স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের আলোয় সাকিবকে জড়িয়ে মুশফিকের অঝোর ধারায় কান্নার ছবিটি এখনো ভাইরাল! ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সাকিব, মুশফিকরা। কিন্তু জয় করে নিয়েছিলেন বাঙালির হৃদয়। ওই দলের অনেকে এখনো খেলছেন দাপটের সঙ্গে। ছয় বছর আগে এশিয়া কাপের ব্যর্থতা বাংলাদেশ ভুলেছিল তিন বছর পর ঘরের মাটিতে। তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তানকে। মাশরাফির নেতৃত্বে টাইগাররা যে উজ্জীবিত ও উদ্দীপ্ত ক্রিকেট খেলে বিশ্ব শাসনের ইঙ্গিত রেখেছিলেন, সেই ধারাবাহিকতায় এখন এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফিরা।
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে আজ অলিখিত সেমিফাইনালে হারালেই স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
টাইগারদের বর্তমান ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা ২৫ ম্যাচে হার। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে মাশরাফির নেতৃত্বে হোয়াইটওয়াশ করে চমকে দেয় পাকিস্তানকে। ওই সিরিজে দুরন্ত ক্রিকেট খেলেছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। টানা দুই সেঞ্চুরিসহ একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। একটি সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকও। দুবাই এসেছিলেন তামিম। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কব্জি ভেঙে যাওয়ায় দেশে ফিরে গেছেন দেশসেরা ব্যাটসম্যান। তার জায়গায় খেলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তিন ম্যাচ খেলে দুই অংকের রান করতে পারেননি। মুশফিক খেলছেন এবং সেঞ্চুরি করে আলোও ছড়িয়েছেন। ফাইনালে খেলতে পাকিস্তানকে হারাতে উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের রান করার তাগিদ দিলেন কোচ, ‘জিততে হলে অবশ্যই আমাদের শুরুটা ভালো হতে হবে। এজন্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে।’ ৩২ বছর ধরে এশিয়া কাপ খেলছে টাইগাররা। ফাইনাল খেলেছে দুবার, ২০১২ ও ২০১৬ সালে। প্রথমবার পাকিস্তান এবং দ্বিতীয়বার ভারতের কাছে হেরে রানার্স আপে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তৃতীয়বার ফাইনাল খেলতে আজ জিততে হবে অলিখিত সেমিফাইনালে।