সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপির জনপ্রিয়তা কমেছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির জনসমাবেশে জনসাধারণের উপস্থিতিই প্রমাণ করে, তাদের জনপ্রিয়তা কমেছে। তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।

গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের আগে যে হাঁকডাক করল, কিন্তু বাস্তবে কী হলো? আষাঢ়ের তর্জন গর্জনই সার। বিএনপির সমাবেশে উপস্থিতি হতাশাজনক। এতেই প্রমাণিত হয় জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। দলটি ক্রমেই জনসমর্থন হারিয়ে ফেলছে। বিএনপি সমাবেশ বা মিটিং করলে সেখানে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মারামারি ছাড়া বিএনপি কোনো সমাবেশ করতে পারে না। বিএনপিতে কেউ কাউকে মানে না- তা জাতির সামনে আজ প্রমাণিত।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোথাও কেউ টুঁশব্দ করেনি। আমাদের সমাবেশগুলো রুলিং পার্টির সমাবেশের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু তারা (বিএনপি) সেন্ট্রালি যে সমাবেশ করেছে সেটায় আমাদের কোনো সমাবেশের মতো লোকজন হয়নি।’ ওবায়দুল কাদের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবি উঁচিয়ে ধরে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে হাতাহাতি, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের সূচনাও হয়েছে হাতাহাতির মধ্য দিয়ে। আমরা উত্তরবঙ্গে নীলফামারী ও কক্সবাজার যাত্রা করেছি। বড় বড় সমাবেশ, জনসভা হয়েছে। সেই তুলনায় বিএনপির এই সমাবেশ কিছুই না। আমাদের সমাবেশে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। শাসক দল যে কতটুকু সুশৃঙ্খল তার প্রমাণ আমরা দেখিয়েছি।’       

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- পবিত্র সংবিধান পরিবর্তন, সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’ সমাবেশ থেকে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে, তবে সেই আন্দোলন আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে, ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে- প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না, যা যা করণীয় তাই করা হবে। সমুচিত জবাব দেওয়া হবে, সে সময় আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাব না।’ এ সময় অক্টোবরের ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত সারা দেশে গণসংযোগ করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সে লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে ৪টি টিম গঠন করার কথা জানান। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে ১ নম্বর টিম রাজধানীর ওয়ারী, ডা. দীপু মনির নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরায়, জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরে এবং আওয়ামী লীগের আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পল্টন এলাকায় গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, দীপু মনি, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাছান মাহমুদ, আবদুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, আখতারুজ্জামান, মৃণাল কান্তি দাস, ফরিদুন্নাহার লাইলী, দেলোয়ার হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আকতার পপি, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর