প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করি। আমি বংশানুক্রমে কোটা পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি না। গতকাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ইনক্লুসিভ বিজনেস’ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গওহর রিজভী বলেন, কোটা সিস্টেম আমি পছন্দ করি না। কিন্তু পিছিয়ে পড়া, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এটি প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে জনগোষ্ঠির ২০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এই ২০ শতাংশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করে তাদের দারিদ্র্যের বাইরে নিয়ে আসতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে পশ্চাৎপদ, গরিব, প্রতিবন্ধীদের টার্গেট করে সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে দরিদ্র কৃষকদের তাদের পণ্য রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরাঞ্চলে পাঠিয়ে লাভবান হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠিকে নানা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও এসব কার্যক্রম যথেষ্ট নয়। এজন্য তিনি বেসরকারি উদ্যোগ এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে প্রায় প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষ সার্বজনীনভাবে মৌলিক চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডাচ্ বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংক, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হেরি ভারউইজি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, জার্মান দূতাবাসের হেড অব মিশন মিখাইল চার্ল্টেসিসি, এসএনভি নেদারল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন বেলেঞ্জার। দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছয়টি সেশনে বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা, উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নিয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক ব্যবসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।