রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

৩৫ দিনে চার হাজার গায়েবি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩৫ দিনে চার হাজার গায়েবি মামলা

নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মামলা দেওয়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এই কৌশল নিয়েছে সরকার। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫ দিনে গায়েবি মামলার সংখ্যা ৪ হাজার ১৪৯। এর মধ্যে জ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৯২ এবং অজ্ঞাত আসামি ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৭ জন। জেলহাজতে আসামির সংখ্যা ৭৫ হাজার ৯২৫ জন। এটা থেকে একটা জিনিসই প্রমাণিত হয়, সরকার সম্ভাব্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যেন বিএনপি নির্বাচনে যেতে না পারে।’

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ রকম পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য ‘অনুকূল নয়’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে যেন বিরোধী দল অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার জন্য সবরকম অবস্থা তারা তৈরি করে রাখছে। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা যে সাত দফা দিয়েছি তা মেনে নিয়ে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

২০০৯ সাল থেকে বিএনপির ১ হাজার ৫১২ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মোট গুমের সংখ্যা ১ হাজার ২০৪ জন। এর মধ্যে পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজত থেকে গ্রেফতার দেখানো হয় ৭৮১ জন এবং গুম হয়ে আছে এখনো ৪২৩ জন।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা, ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত করে রাখা এবং আমাদের সিনিয়র নেতাদের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার একটা প্রক্রিয়া তারা (সরকার) বের করতে পারে।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখার জন্য এভাবে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করা।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এভাবে কোনো ভিত্তি ছাড়া মামলা দায়ের করে সরকার দেশে সুবিচার বলতে যা বোঝায়, তা একেবারেই নিঃশেষ করে দিয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনের আগে ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত যারা আমাদের নির্বাচন করবে, তাদের সবাইকে কারাগারে বন্দী করে রাখা। তারা চাচ্ছেন ফের ফাঁকা মাঠে গোল দিতে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর