বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, সুসময়ে ও দুঃসময়ে ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতীয় সেনারা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিল। আর ওইটাই ছিল ভারতীয়দের জন্য মহান গর্বের মুহূর্ত। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি শক্তিশালী ভীত বপন করেছিল। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরও অটুট। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে শ্রী শ্রী দশ অবতার ও মনসা দেবীর মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা সবাই আমাদের উৎসবগুলো একসঙ্গে পালন করি। এই পূজা আমাদের জন্য ভারত বাংলাদেশের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, আনন্দ বয়ে আনুক। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক চিরদিন অবিচ্ছেদ্য হোক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রী শ্রী দশ অবতার ও মনসা দেবীর মন্দির কমিটির সভাপতি অসিত কুমার সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের বিধান সভার জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও বিজেপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অরুন হালদার, নড়াইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের নারী সদস্য রোকসানা ইয়াসমিন ছুটি, নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুসহ অনেকে। এর আগে প্রধান অতিথি রাত ৯টার দিকে পৌঁছানোর পর শঙ্খ বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয়।