শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মনোনয়নের টুকিটাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌকায় চড়তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) ও বাংলাদেশ তৃণমূল বিএনপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। গতকাল সন্ধ্যায় তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আর নির্বাচন করবেন না এমন ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে একই আসনে পিতা-পুত্র, পিতা-কন্যা, ভাই-ভাই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। কোথাও কোথাও সমঝোতার ভিত্তিতে আবার কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কেউ কেউ।

নৌকায় চড়তে চান নাজমুল হুদা : ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে বিএনপি-জামায়াত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি বেশ কয়েক বছর বিএনপির ঘর ছাড়া হয়েছেন। নিজে গড়ে তুলেছেন তৃণমূল বিএনপি। বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতিও তিনি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছেন। গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে নৌকায় চড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে তিনি নিজে আসেননি। তার পক্ষে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিভাগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ফরম তুললেন আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আবদুল মোমেন : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তবে গতকাল অর্থমন্ত্রীর পক্ষে তার ছেলে সাহেদ সিলেট-১ আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। আর ভাইয়ের (অর্থমন্ত্রী) টাকায় সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। কোনো দ্বন্দ্ব নয়, দুজনই চান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যাকে বলবেন তিনিই নির্বাচনে অংশ নেবেন। এদিকে সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন।   

সৈয়দ আশরাফ ও সৈয়দ সাফায়েত : কিশোরগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সৈয়দ আশরাফের পক্ষে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী তোফাজ্জল হোসেন। একই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তবে কোনো দ্বন্দ্ব নয়, কোনো কারণে সৈয়দ আশরাফ নির্বাচন না করলে ছোট ভাই হাল ধরবেন নৌকার। 

পিতা-পুত্র ও কন্যারা : সিরাজগঞ্জ-১ আসনে (কাজীপুর) বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এবারও তিনিই এখানে মনোনয়ন পাবেন এমনটাই নিশ্চিত। তার পক্ষে নির্বাচনী এলাকা ও জেলার সর্বস্তরের নেতা-কর্মী গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তবে এ আসনের সাবেক এমপি  মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়ের পক্ষেও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। চাঁদপুর-২ আসনে আবারও প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। এ আসন থেকে তার ছেলে সাজেদুল হোসেন  চৌধুরী দিপুও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মায়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার রাজনৈতিক সচিব মাসুদ আহমেদ জামান এবং তার ভাই মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল। অন্যদিকে দিপুর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হোসেন। ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং এমপিপুত্র মশিউর রহমান মোল্লা সজল। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শোডাউন করে তারা একসঙ্গে একই আসনের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুস এবং তার মেয়ে কোহেলী কুদ্দুস। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোহেলী কুদ্দুস নিজের এবং তার বাবার মনোনয়ন ফরম কেনেন।

জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীরা নিলেন শামীমের মনোনয়ন ফরম : শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে ছিলেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নড়িয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ওহাব বেপারী, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার, নড়িয়ার পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আকলিমা আক্তার লিপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক জহির সিকদার, সখীপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম, সদস্য এনায়েত উল্লাহ মুন্সী, আলী আহম্মদ কাজী, আলমগীর হোসেন, মিজানুর রহমান আলম, আনোয়ার বালা, কোহিনূর সুলতানা দোলা, অ্যাডভোকেট রওশন আরা, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম দেওয়ান, গিয়াস উদ্দিন রাড়ী, শাহ আলম চৌকিদার, শওকত হোসেন বয়াতী, খন্দকার আলী হোসেন, ডি এম শাহজাহান সিরাজ, মুন্সী রাশেদ আজগর সোহেল, আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার, জিতু মিয়া বেপারী, মাস্টার জসিম উদ্দিন মাদবর, মুজাম্মেল হক মোল্লা প্রমুখ।

, ইউনুস সরকার, কামরুজ্জামান মানিক সরদার, সামসুজ্জোহা রতন, ইউনুস আলী মোল্লা, বাবুল হোসেন মোল্লা, মনির হোসেন সুমন, সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর