দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের নামে কালো টাকা ব্যয়ের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে দুদক। কমিশন প্রত্যাশা করে নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবাই স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন কমিশনে ব্যয় বিবরণী জমা দেবেন। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেবেন না। তবে অবৈধ সম্পদের কোনো বিষয় থাকলে দুদক আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে। গতকাল সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন তিনি। নিজেদের মধ্যে গলদ রয়েছে এমন মন্তব্য করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চেষ্টা করব গলদ কীভাবে দূর করা যায়। আমরা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে পিছপা কখনো হইনি। দুর্নীতি ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে দুদকের কর্মকতা-কর্মচারীকে চাকরি হতে বরখাস্ত কিংবা বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমরা এটা করেছি, অন্যরা আমাদের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। তাহলে কাজের গতি বাড়বে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান দুদকের কার্যক্রম নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতিটি মানুষেরই কর্ম সম্পাদনে নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি থাকে। আমার সবার কাছে অনুরোধ থাকবে যে কোনো বিষয়ে জেনে, বুঝে শুনে মন্তব্য করা। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রাসঙ্গিক এবং অবিবেচনা প্রসূত বক্তব্য আমরা প্রত্যাশা করিনি। এদিকে দুদক-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকালে রাজধানীর বেন-বেইজ কার্যালয়ে সংস্থাটির উদ্যোগে সততা স্টোর চালু করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি পরীক্ষার ফির জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে, তাদের অর্থ ফেরত দিতে হবে।