শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা

তরুণদের স্বপ্নের কথা শুনলেন-শোনালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তরুণদের কাছ থেকে তাদের স্বপ্নের কথা, স্বপ্নপূরণের কথা ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা শুনলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নে নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনার কথাও তরুণদের জানান তিনি। উত্তর দেন বিভিন্ন প্রশ্নের। তরুণদের সঙ্গে সরাসরি এই কথোপকথনের জন্যই গতকাল বিকালে আয়োজন করা হয়েছিল ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’  শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের। এতে উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ছাত্রছাত্রী, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সারা দেশ থেকে মনোনীত হয়ে আসা ১৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তরুণরা অথবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন কোন সমস্যার সমাধান করবে তারা— এমন অনেক বিষয়ে আলোচনা হয় এবারের লেটস টক-এ। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় লেটস টকে বহুবার তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বললেও এই প্রথম তরুণদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসেও প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হলেন। অনুষ্ঠানে তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, তাদের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণদেরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন তিনি। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে প্রধানমন্ত্রী তার কৈশোর ও তারুণ্যের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীদের সামনে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৈশোর এবং তারুণ্য কি অন্যদের থেকে আলাদা ছিল? কি রকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধকালে তার অবরুদ্ধ জীবন, ১৯৭৫ সালের পরে দেশের বাইরে তার কঠিন জীবনযাপন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা, দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা— এমন আরও অনেক বিষয়ে অজানা তথ্য তরুণদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নানা প্রতিবন্ধকতার কথা, এগিয়ে যাওয়ার পেছনের শক্তির কথা, কারাজীবন, দেশকে এগিয়ে নিতে সংগ্রাম ও স্বপ্নসহ নানা অজানা কথা উঠে আসে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, চাওয়া-পাওয়ার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার কথা ছিল। পরে সেটি পিছিয়ে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৩ নভেম্বর। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি।

সর্বশেষ খবর