সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্ছ্বসিত ইইউ দল

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ঢাকা সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ তাদের যোগ্য নেতা নির্বাচিত করবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন। তিন দিনের সফরের শেষ দিন গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে তারা এ প্রতিক্রিয়া জানান। এর আগে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ রানা প্লাজা ও গার্মেন্ট কারখানা পরিদর্শন করেন।

 

ব্রাসেলসভিত্তিক সাউথ এশিয়ান ডেমোক্র্যাটিক         ফোরামের (এসডিএফ) আয়োজনে ২৩ নভেম্বর ঢাকায় আসে প্রতিনিধি দলটি। ইইউ পার্লামেন্টের রক্ষণশীল এমপি প্রধান রুপার্ট অলিভার ম্যাথিউসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে আছেন মার্ক এন্ড্রিও দেসমারিস, পিউপল পার্টির এমপি ফুলভিও মার্তিসিলিও, পর্তুগালের সংসদ সদস্য সান্দ্রা পেরেইরা, সোশ্যালিস্ট পার্টির জোয়ানা দে লিমা, পিপলস পার্টির জোয়াও পেরেইরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কমিটির মাদি শর্মা ও আয়োজক সংস্থা এসএডিএফের সুশান গুয়ার্দা।  প্রতিনিধি দলের প্রধান রুপার্ট অলিভার ম্যাথিউস বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন উদাহরণ। এ ছাড়া শিক্ষা বিস্তার, গার্মেন্ট খাতের আমূল সংস্কার ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান প্রশংসনীয়। প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, আসন্ন নির্বাচনে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে, যদি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান ম্যাথিউস।

সমুদ্র অর্থনীতিতে ‘যুগান্তকারী’ সাফল্যের অপেক্ষা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে ‘যুগান্তকারী’ সাফল্য পেতে পারে বাংলাদেশ। গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্পদ রয়েছে, কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পর্যাপ্ত গবেষণা না থাকায় সমুদ্র অর্থনীতিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমাদের সমুদ্র অর্থনীতি খাতে উদ্ভাবন, গবেষণা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি প্রয়োজন। সরকারকেও একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করছি, সমুদ্র অর্থনীতির ক্ষেত্রে ‘‘যুগান্তকারী’’ সাফল্য পাবে বাংলাদেশ।’ সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূত রেঞ্জসে তেরিঙ্ক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে একটি প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন।

সর্বশেষ খবর