সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সরেজমিন

দিনে নয়াপল্টন রাতে গুলশান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ ছাড়া গতকাল দিনভর নয়াপল্টনেও নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আনাগোনা ছিল নয়াপল্টন কার্যালয়ে। সেখানে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জানতে চান দলীয় প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম তালিকায় আছে কিনা। তবে কারোরই আশ্বাস মেলেনি। নয়াপল্টনে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। অনেকেই তার সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। এ ছাড়াও দফতর শাখায় যোগাযোগ করেন কেউ কেউ। শুধু সেখানেই নয়, এরপর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ছুটে যান আশপাশে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বাসা ও অফিসে। সেখানেও নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে আসা নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নিজের অবস্থান কোথায় তা এখনো নিশ্চিত জানতে পারছি না। এ জন্য নয়াপল্টন কার্যালয়ে এলাম খোঁজখবর নিতে। চিঠি পেলেই দেশে ফিরে যাব। যশোর এলাকা থেকে আসা আরেক প্রার্থী জানান, চিঠি না পাওয়ার কারণে এলাকায়ও যেতে পারছি না। কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। কয়েকদিন ধরেই ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এলাকায় নেতা-কর্মীরাও অধীর অপেক্ষায় আছেন।

এ প্রসঙ্গে নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আসছেন। তালিকায় নাম আছে কিনা জানতেও চাচ্ছেন। কিন্তু বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। তাই আমি তাদের কোনো আশ্বাস দিতে পারছি না। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ের দিকে ছুটে যান নেতা-কর্মীসহ মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ধ্যার আগেই চলে যান গুলশান কার্যালয়ে। এ সময় বেশকিছু নেতা-কর্মীকে দেখা গেছে গুলশান কার্যালয়ে। সন্ধ্যার পরপর ২০-দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারা ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দেখা গেছে। গুলশান কার্যালয়ের ভিতরে-বাইরে ছিলেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। দুই জোট ও ফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

সর্বশেষ খবর