বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মনোনয়নপত্র জমা দেননি মিন্টু আলাল সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব  সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দী সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল। তারা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি। আবদুল আউয়াল মিন্টুু ফেনী-৩ আসনে নিজে এবং ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বরিশাল-২ আসনের। ঢাকা-৮ আসনে দলের মনোনয়ন ফরম তোলেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনজনের কেউই গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকালই ছিল মনোনয়নপত্র জমা  দেওয়ার শেষ দিন। সব দলের প্রার্থীরাই গতকাল দিনভর নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পছন্দ ঢাকা-৮ (রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল) আসন। ওই আসনে তিনি আগেও নির্বাচন করেন। এবারও তিনি ওই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন। ঢাকা-৯ আসনে (খিলগাঁও-সবুজবাগ) হাবিব উন নবী খান সোহেলকে মনোনয়ন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আগেরবার নির্বাচন করেছিলেন ঢাকা-৮ আসন থেকে। ওই আসনেই দলীয় মনোনয়নপত্র তোলেন। মির্জা আব্বাসের জন্য যখন দলের হাইকমান্ড ঢাকা-৮ আসন সুনির্দিষ্ট করে দেয় তখন রাগে ক্ষোভে মনোনয়নপত্র জমা দেননি হাবিব-উন নবী খান সোহেল। ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস মনোনয়নপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে। এ দিকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের পছন্দ ছিল ঢাকা-১৩ আসন। এর আগে তিনি ওই আসন থেকেই নির্বাচনে লড়েন। তাকে এই আসন ছেড়ে বরিশাল-২ এ নির্বাচন করতে বলা হয়। তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেও শেষ পর্যন্ত রাগে-ক্ষোভে তা জমা দেননি। আরও জানা গেছে, দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশেই নির্বাচন করছেন না আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফেনী-১ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ ছাড়াও ফেনী-৩ থেকেও তিনি নিজে একটি এবং তার ভাই আকবর হোসেন আরেকটি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি ফেনী-৩ আসনে ভাই আকবর হোসেনকে ছেড়ে দিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেন। এ দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি আসনে তিনি ছাড়াও বিকল্প প্রার্থী হিসেবে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তার নিজের আসন ঠাকুরগাঁও-১ এর পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ (সদর) এর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর খালেদার বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিকল্প প্রার্থী হয়েছেন গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরশেদ মিল্টন। ফেনী-১ (পরশুরাম-ফুলগাজী-ছাগলনাইয়া) আসনে খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনুর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তিনটিতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাবেক এমপি রেহেনা আক্তার রানুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, হাই কোর্টের এক রায়ে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ আটকে যাওয়ার পর গতকাল মনোনয়ন জমার শেষ দিনে বিএনপির পক্ষ থেকে বিকল্প প্রার্থী দেওয়া হয়। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

সর্বশেষ খবর