শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপির ভোটে আসা অপ্রত্যাশিত

হাউস অব কমন্সের প্রতিবেদন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের পাওয়া সুযোগের মধ্যে সমতা বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে ‘বাংলাদেশ : নভেম্বর ২০১৮ আপডেট’ শীর্ষক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করে বলা হয়েছে, ভোটের মাঠে বড় দুটি দল সমানে সমান হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সহজেই এই নির্বাচনে জয়লাভ করবে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের জনৈক বিশেষজ্ঞ মুশতাক খানের সতর্ক বার্তার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এক দলের শাসনে অর্জিত আর্থসামাজিক খাতের উন্নয়ন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল্য অনেক বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবসময়ই উত্তপ্ত থাকে। সামনের নির্বাচনকে ঘিরে এই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। এই দলটির দাবি ছিল খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হোক। সরকারি দল এই দাবি না মানলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি ভোটে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে। দলটি ধর্মনিরেপক্ষ ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০-দলীয় জোটে যোগ দিয়ে ভোটের মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং সাবেক মন্ত্রী ড. কামাল হোসেন।’ অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ এবারও ভোটের মাঠে ১৪ দলীয় জোটে থাকছে। ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ এবার একাধিক কট্টরপন্থি ইসলামিক দলের সঙ্গে জোট গড়েছে। যার মধ্যে হেফাজতে ইসলাম অন্যতম। এবারের ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ বিগত সময়ের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথমে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করলেও পরবর্তী সময়ে বিএনপি এবং অন্য দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে। কিন্তু ভোটের মাঠে সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

 নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় রয়েছে বলেই হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভোটের মাঠে পুরো পর্যবেক্ষক দল না পাঠিয়ে দুজন বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে। কমনওয়েলথও এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায়নি। যুক্তরাজ্যের এশিয়া বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, ‘বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সব দলের সমন্বয়ে অংশগ্রহণমূলক ভোট অনুষ্ঠান চায় যুক্তরাজ্য সরকার। আমি গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অংশগ্রহণমূলক ভোটের কথা বলেছি। এ ছাড়া গত ১ নভেম্বর প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছি।’

সর্বশেষ খবর