শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সব প্রার্থীর খরচের উৎসগুলো নজরদারিতে আনতে হবে

আলী রিয়াজ

সব প্রার্থীর খরচের উৎসগুলো নজরদারিতে আনতে হবে

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন ঠেকানো যায় না। সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে হিসাব দেওয়ার পরও প্রার্থীরা বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। এর উৎস কি বা কীভাবে এলো এই টাকা, তা খুঁজে বের করা কঠিন। তবে সরকারি সংস্থাগুলো তৎপর থাকলে, সব প্রার্থীর খরচের উৎস নজরদারিতে থাকলে এটা ঠেকানো যায়।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কালো টাকার ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। কী পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয় নির্বাচনে তা বলা মুশকিল। নির্বাচনে ব্যয়ের উৎস হিসেবে প্রার্থীরা একটি হিসাব জমা দেন। কিন্তু নির্বাচনে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয় তার সঙ্গে সব সময় মিল থাকে না। ভোটের পর প্রার্থীরা আবারও হিসাব জমা দেন। দুই হিসাবের সত্যতা নিয়ে সবার সন্দেহ রয়েছে। সাবেক এই উপদেষ্ট বলেন, প্রার্থীরা যে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন তা কোত্থেকে আসে, কীভাবে ব্যয় হয় সেটা সুনির্দিষ্ট নয়। বিভিন্ন খাতে প্রার্থীরা ব্যয় করে থাকেন। কিছু খাত রয়েছে যেগুলো বের করাই কঠিন। নির্বাচনকালীন সময় ব্যয়ের যে চিত্র আমরা দেখি তা হিসাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রার্থীদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ ব্যয়ের এটি একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করে। অনেকে সেটা ব্যবহার করেন। নির্বাচন কমিশন ব্যয়ের সঠিক নির্দেশনা দিলেই শুধু কাজ হবে না। যদি কেউ তাদের নির্দেশনা বা নীতিমালার বাইরে খরচ করেন সেটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ দরকার। এজন্য শুধু কমিশন কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, দুদক, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রার্থীদের ব্যয়ের উৎস ও ব্যয় সম্পর্কে নজরদারি থাকা উচিত। দুদক ইতিমধ্যে বলেছে, তারা খতিয়ে দেখবে। নির্বাচনের আগে ব্যয় সম্পর্কে কিছু করার থাকে না। খরচের উৎস হিসেবে প্রার্থীরা যা দেখাচ্ছেন তার বাইরে কী কী খরচ করছেন সেগুলোর ওপর নজরদারি থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার সম্পর্কে কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সব সংস্থা তৎপর থাকলে এটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যায়।

সর্বশেষ খবর