মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তামাশার শামিল

--- আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখা ও দুর্নীতিরোধের অঙ্গীকারকে জাতির সঙ্গে তামাশা করার শামিল বলে উল্লেখ করেছে আওয়ামী লীগ।

গতকাল দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান আরও বলেন, ২৩ জনের অধিক যুদ্ধাপরাধীর উত্তরসূরি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। আর যুদ্ধাপরাধীরা ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই আছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা করবে-এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার, অবিশ্বাস্য। তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, মনোনয়ন দিয়েছে, তারা কী করে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে? এটা জনগণের সঙ্গে নেহায়েত প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতিকে বিভ্রান্ত করে এই ইশতেহারের মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট তামাশা করছে। তিনি বলেন, তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন হাওয়া ভবনকে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিলেন। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। তাদের মুখে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা ভূতের মুখে রাম নাম। দেশের মানুষ কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না-তারা দুর্নীতি দূর করবে। এটা ভোটের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র। আবদুর রহমান বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার যে, নির্বাচন বানচালের নানা চক্রান্তের জাল বুনছেন তারা। যারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে আছেন, তাদের বলতে চাই- যে কোনো মূল্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা তারা নিজেরাই ঘটিয়েছে। তাদের মনোনয়ন বাণিজ্যে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এর দায়ভার ও দোষ আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, গোলাম রাব্বানী চিনুসহ অনেকে।

সর্বশেষ খবর