শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গোলাম মাওলা রনিসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা থানায় মামলাটি দায়ের করেন গলাচিপা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও গলাচিপা মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী মাসুদ। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন— পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও একই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান খান, রনির ভাই সরোয়ার হোসেন, শ্যালক মকবুল হোসেন, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু খান ও শাহআলম সানু। তবে কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গলাচিপা টিঅ্যান্ডটি সড়কে গোলাম মাওলা রনির স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা আত্মঘাতী ঘটনা ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। যা মোবাইলে কথোপকথনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করেছে, যা আসন্ন নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার বিষয়ে গোলাম মাওলা রনি বলেন, মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এখানে আমার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ঘটনায় আমার স্ত্রীর অভিযোগ থানা পুলিশ গ্রহণ না করে আইন লঙ্ঘন করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গলাচিপা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ফেরার সময় গোলাম মাওলা রনির স্ত্রী-বোনসহ গলাচিপা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব মিয়াকে বহন করা মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এতে রনির স্ত্রী লুনা আক্তার, বোন এবং গলাচিপা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবু তালেব মিয়াসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার স্ত্রী ও বোনের ওপর হামলা চালায় ও তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আমার স্ত্রীসহ আহতরা গলাচিপা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন রনি। এ সময় তার স্ত্রী এবং বোনের স্বর্ণালঙ্কারও লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গোলাম মাওলা রনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর