র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশে প্রচলিত অপরাধ কমলেও সাইবার ক্রাইমের মতো নতুন নতুন অপরাধ বাড়ছে। এ ধরনের অপরাধ আমাদের সমাজে নতুন। এ অপরাধের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। ক্র্যাবের সভাপতি আবু  সালেহ আকনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা, ডিআইজি মিডিয়া এস এম রুহুল আমিন, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে দেশ। স্বাধীনতার পর পশ্চিমের অনেক অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন বাংলাদেশ টিকবে না। কারণ আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি, খাদ্যের ঘাটতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব রয়েছে। তারপরও দেশে আজ দারিদ্র্য মাত্র ২৪ শতাংশ, জিডিপি ৭ শতাংশের বেশি। এখন তারা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল ভাবে। এটা সম্ভব হয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব এবং দেশ ও জনগণ সর্বোপরি সবার সহযোগিতায়। তিনি উল্লেখ করেন, দেশে যে কোনো মামলা শেষ হতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ মাস লাগার কথা, সেখানে আমাদের বছরের পর বছর বসে থাকতে হয়। বর্তমানে দেশে সাড়ে তিন লাখ মামলার জট রয়েছে, যা শেষ হতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর লেগে যাবে। কারণ বিচারক রয়েছেন মাত্র দুই হাজার। তাই এ খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে। বার্ষিক সম্মলনে পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সাংবাদিককে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার বণিক বার্তার রিপোর্টার আয়নাল হোসেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যমুনা টিভির আবদুল্লাহ তুহিন, মাদক নিয়ন্ত্রণে নয়া দিগন্তের আমিনুল ইসলাম, মানবাধিকারে জি টিভির সাজ্জাদ পারভেজ, নারী ও শিশু বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য সমকালের বকুল আহমেদকে পুরস্কৃত করা হয়।