ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা বাকস্বাধীনতার কথা বলে তাদের নেতা ড. কামাল হোসেন খামোশ বলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার অধিকার খর্ব করেছেন। এতেই বোঝা যায় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে জনগণের বাকস্বাধীনতা থাকবে না। গতকাল দুপুরে আনিসুল হক তার নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার শিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম মৃধার সভাপতিত্বে মন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী যাদের মনোনয়নপত্র হাই কোর্ট বাতিল করেছে ওইসব এলাকায় পুনরায় মির্জা ফখরুল প্রার্থী নির্বাচন করে চিঠি দিয়েছেন; যা কোনোক্রমেই আইনগতভাবে সঠিক নয়। এ রকম হলে তাদের জন্য পুনরায় আইন প্রণয়ন করতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জামাল খান প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী খাড়েরা ইউনিয়নের সোনাগাঁও মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেন। মন্ত্রী বলেন, আমি এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করেছি। ৯৫৫ জনকে সরকারি চাকরি দিয়েছি। এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছি। আমার বিশ্বাস আপনারা আমাকে বিমুখ করবেন না। জনসভায় বক্তৃতা করেন খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহাম্মদ খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল প্রমুুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূইয়া, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, এম জি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভুইয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।