শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা

জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব। তাই নির্বাচনে ভরাডুবি হবে জেনেই বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

গতকাল বিকালে ধানমন্ডির সুধা সদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কুষ্টিয়া, নওগাঁ ও চাঁদপুর জেলায় নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দল ও মহাজোট প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে নৌকায় ভোট চান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট দেশব্যাপী তা ব চালিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। তারা সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তিনজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে তারা খুন করেছে। নির্বাচন বানচাল করতে তারা উসকানি দেবে, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের আচরণে বোঝা যায় তারা পেশিশক্তি দিয়ে নির্বাচনে জিততে চায়। ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়েও পুলিশকে গালিগালাজ করে এসেছেন। তার যে অকথ্য ভাষা, তিনি নাকি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন। তার মুখ থেকে অকথ্য ভাষা নোংরা গালি এটা নিশ্চয়ই কেউ আশা করে না। তিনি কোর্টে বসে আমার অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোংরা গালি দিয়েছেন। এখন আবার পুলিশবাহিনীকে নোংরা গালি দিয়ে বসেছেন। সাংবাদিকদের খামোশ বলে দেখে নেব হুমকি দিয়েছেন। এ আচরণ থেকে বোঝা যায়, তাদের নেতা-কর্মীদের আচরণটা কতটা জঘন্য। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্যসহকারে কাজ করতে হবে। যেহেতু তারা সন্ত্রাস করে নেতা-কর্মীদের খুন করছে, তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, বোমা হামলা করছে, নির্বাচনী প্রচারমিছিলের ওপর হামলা করছে, আমাদের নির্বাচন অফিস পোড়াচ্ছে। যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে তারা সেখানেই হামলা করে যাচ্ছে। এটাই তাদের চরিত্র, সেটাই তারা করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি-জামায়াত) জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, অগ্নিসংযোগকারীদের মানুষ ভোট দেবে না। আর সে কারণে তারা তাদের পেশিশক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। অতীতে তারা যেভাবে মানুষকে আক্রমণ করেছে, ঠিক সেভাবে এখনো সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের আমরা বিচার করেছি। কিন্তু কিছু এখনো রয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচন করছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যারা এ দেশ চায়নি, দেশের স্বাধীনতা চায়নি, আজ তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। দেশের মানুষের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যারা ভোটার সবাই ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। বেছে নেবেন আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। আওয়ামী লীগের ইশতেহার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। আবারও নির্বাচিত হলে ইশতেহার বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। ভোট দিয়ে নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করতে চায়। সবাইকে ধৈর্য ধরে নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু হয়, সেজন্য আমাদের সব নেতা-কর্মীকে সচেষ্ট থাকতে হবে। আবার বিরোধী দল যেন বাধাহীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর