শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শঙ্কার মাঝেও জমজমাট প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শঙ্কার মাঝেও জমজমাট প্রচারণা

গতকাল সিলেট সদর আসনে নৌকার পক্ষে শোডাউন (বামে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধানের শীষের সমাবেশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আজ সকালে শেষ হয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের প্রচারণার সুযোগ। তাই গতকাল নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রচারণায় ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। শেষ দিনের এই প্রচারণাও ছিল জমজমাট।

গণসংযোগের পাশাপাশি ছিল বিশাল বিশাল শোভাযাত্রা, মিছিল, সভা, পথসভা, কর্মিসভা সারা দেশে কিছুরই কমতি ছিল না। এতদিন বাধাবিঘেœর জন্য গণসংযোগ করতে না পারা প্রার্থীদের বেশিরভাগ এ দিন প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। চলছে মাইকিং ও প্রচারপত্র বিতরণ। প্রার্থী ও কর্মীরা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে শেষবারের মতো ভোট চেয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিগত সময়ের করা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ও বিএনপির প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির বার্তা নিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও মাঠে ভোটারদের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট চেয়েছেন। সারাদিনের এই উৎসবের আমেজ সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতেও ছিল সারা দেশের গ্রাম-মহল্লাগুলোতে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধিদের তথ্যানুসারে, প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার কোটালীপাড়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট এলাকাসহ উপজেলার সর্বত্র শেখ হাসিনার পক্ষে নৌকায় ভোট চান নেতা-কর্মীরা। এ সময় লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচনী শেষ জনসভা করা হয়েছে টুঙ্গিপাড়ায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিম লীর সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফের তত্ত্বাবধানে। বিকালে টুঙ্গিপাড়া জিটি হাইস্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার প্রধান অতিথি রেড ক্রিসেন্টের সাবেক সভাপতি ও শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভোটারদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার জনগণের ওপর আমার ভরসা রয়েছে। আমি বাবা, মা, ভাইসহ আমার পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে আপনাদের ভালোবাসা বুকে নিয়ে বেঁচে আছি। গোপালগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানীর ৭ ইউনিয়নে নেতা-কর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে গ্রামে গ্রামে প্রচারণা চালিয়েছেন। গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের নির্বাচনী প্রচারণাও দিনভর চলেছে। এ আসনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সুধা সদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। বিকাল ৫টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে তিনি বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী পাবনার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন এবং বিরোধী দলের প্রসঙ্গে বলেন, তাদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দেশবাসী কখনো তাদের পছন্দ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তিনি পাবনার ৫টি আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ভোটারদের সঙ্গে। বাগেরহাট- ২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজš§ শেখ সারহান নাসের তš§য়ের পক্ষে গতকাল শেষ নির্বাচনী জনসভায় ভোট চেয়েছেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী ও বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি। খানজাহান আলী কলেজ মাঠের এ জনসভায় তিনি বলেছেন, তš§য় নির্বাচিত হলে বাগেরহাটের উন্নয়ন হবে। তš§য় বলেন, আমাকে ভোট দিন, আপনারা ঠকবেন না। বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোজাম্মেল হোসেন গত বিকালে শেষ নির্বাচনী জনসভায় সবার কাছে দোয়া এবং অতীতের কর্মকাে  কেউ ব্যথিত হয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অতীত ভুলে বিজয়ের মাসে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও সবাইকে বিজয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শেষ দিনের পথসভাকে কেন্দ্র করে ভোলা-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের পক্ষে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররা দুপুরের পর থেকে খ খ  মিছিল নিয়ে বাংলাস্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশপাশের রাস্তায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। শেষ এই পথসভায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে ভোলাকে মনের মতো করে সাজাব। ভোলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তুলব।

বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গণসংযোগে কাটিয়েছেন। সকালে নগরীর কালীবাড়ি রোডে গণসংযোগ শেষে দুপুর থেকে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে করেছেন একাধিক কর্মিসভা। বিকালে সিটি মেয়রের বাসায় মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে সমর্থন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ কে এম মর্তুজা আবেদীন। পরে প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এবং সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে নৌকার সমর্থনে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারও গতকাল সারাদিন কাাটিয়েছেন গণসংযোগে। বরিশাল সদরের শায়েস্তাবাদ বাজারে গণসংযোগে তিনি বরিশালের উন্নয়ন এবং অবরুদ্ধ গণতন্ত্র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম গতকাল বিকালে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় সবশেষ নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, কোনো প্রকার ভোট চুরির চেষ্টা করা হলে সচেতন জনতা কঠোর হস্তে দমন করবে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরও নির্বাচনী প্রচারণায় ছিল সরগরম। দিনাজপুর সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কর্ণাই, মহাদেবপুর, নশিপুর, লক্ষ্মিপুর, টেক্সটাইল, রামডুবি, ব্যাংকালী, কমলপুর, মুরাদপুরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করেন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে একটি মানুষকে হত্যা করা হলে, একটি বাসে আগুন দেওয়া হলে বিএনপি-জামায়াতকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। মাঠ চাঙ্গা রাখতে দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে সব মতবিরোধ ভুলে নতুন পুরনো সব আওয়ামী লীগের নেতারা ঐক্য গড়ে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রার্থনা করেছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর জন্য একাট্টা হয়ে চিরিরবন্দরে চালানো হয় নৌকার প্রচারণা। বিভিন্ন জনসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি বলেছেন-দেশে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য ধারা চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে এবং প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ হাবিবর রহমান গতকাল বিকালে শহরের হাসপাতাল রোডের মোজাহার আলী কোল্ডষ্টোর চত্বর থেকে বিশাল মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেন তিনি। মাগুরা-১ আসনের মহাজোট প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরের পক্ষে জেলা মহিলা লীগের আয়োজনে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হয়েছে। র‌্যালিতে অংশ নেন মাগুরা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকার নারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। খাগড়াছড়িতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী সোলাইমান আলম শেঠ খাগড়াছড়ির সদরে এক বিশাল নির্বাচনী মিছিল শেষে কলেজ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। পল্লী ও পাহাড়ি বন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিষ্ঠা করেন উল্লেখ করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চেয়েছেন সোলাইমান আলম শেঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে কসবা উপজেলার পৌর মুক্ত মঞ্চে বিশাল গণজমায়েত ও মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায় ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। নৌকার বিজয় অবশ্যম্ভাবী। ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে নৌাকা প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেছেন, মোকতাদির চৌধুরীর মতো ভালো প্রার্থীর বিকল্প নেই। নড়াইল-২ আসনে জাতীয় ক্রিকেট দলের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নৌকা প্রতীকের পক্ষে শেষ মুহূর্তে প্রচারণা ছিল জমজমাট। নড়াইলের বিভিন্ন জনপদ মাশরাফি আর মাশরাফি শব্দে ছিল মুখর। দলমত নির্বিশেষে সবাই ছুটেছেন মাশরাফির নির্বাচনী প্রচারণায়। নাটোরের সিংড়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলকের সমর্থনে কয়েক হাজার মালিক, শ্রমিক নৌকা মার্কার ভোট চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে উপজেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ দুদুর নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে মিছিল করেন। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী)-এ নালিতাবাড়ী শহীদ মিনার চত্বওে শেষ প্রচারণা সভা করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ, ততদিন নিরাপদ। নালিতাবাড়ী পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়ন হতে আগত নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নৌকা মার্কার স্লোগান নিয়ে হাতে বৈঠা, মুখে নৌকা মার্কার স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা। ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফরউল্লাহর পক্ষে গতকাল ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, ‘কাজী জাফরউল্লাহ শক্তিশালী নেতা। উনি আমার ছোট ভাই, রাজনীতিতে আমারও নেতা। এরকম নেতাকে ভোট না দিলে আপনারা ঠকবেন এটা আমি নিশ্চিত বলতে পারি। ফরিদপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তিনি গতকাল তালমা ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার ও রাতে মহিলা রোড বাজার এলাকায় সমাবেশ করেন। ফরিদপুর-১ আসনের (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনজুর হোসেনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশাল র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে হয় আলোচনা সভা। চট্টগ্রামে মহাজোটের শীর্ষ শরিক দল আওয়ামী লীগের নেতারা প্রার্থীর জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রতিদান হিসেবে ভোট চেয়েছেন। সভায় প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাজোট মনোনীত চট্টগ্রাম-৯ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী মইনুদ্দীন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। পটুয়াখালী-২ আসনের বাউফলে গতকাল আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থী আ স ম ফিরোজের নৌকা মার্কার বিশাল নির্বাচনী সভা করেন। ঝালকাঠি-১ আসনের নির্বাচনী এলাকা রাজাপুর উপজেলায় নৌকার পক্ষে বিশাল পথসভা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বজলুল হক হারুন। দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপির জনসভাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপির সদরের মাওলাগঞ্জ বাজারের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। ঢাকঢোল পিটিয়ে মিছিলে মিছিলে সমাবেশ স্থল নৌকার স্লোগানে মুখর ছিল।

‘নৌকা’ মিছিল-স্লোগানের নগরী ঢাকা : বিকালে ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে নৌকার বিশাল মিছিল বের করেন ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কোথায় মিছিলের শুরু আর কোথায় শেষ তা বোঝার উপায় নেই। রাস্তায় অপেক্ষমাণ মানুষকে বলতে শোনা যায়- ‘নৌকার মিছিল শেষই হচ্ছে না’। ঢাকা-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোলা। বিকালে তার পক্ষে ভোট চেয়ে বিশাল শোডাউন করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। কোনাপাড়ার কনকর্ড এলাকায় মিছিলে ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্না, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ৪৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম অনু, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান খাঁন, মাতুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নুরুল আমিন নীরু, স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি সায়েম খন্দকারসহ ঢাকা-৫ আসনের থানা, ডিএসসিসি ওয়ার্ড ও সাবেক ইউনিয়নভিত্তিক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক নেতারাসহ এলাকার সর্বস্তরের নবীন-প্রবীণ নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। পুরান ঢাকায় গণমিছিল করেন ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সেলিম। ঢাকা-৮ আসনের মহাজোট প্রার্থী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পল্টন, মতিঝিল ও শাহবাগ, মালিবাগ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও গণসংযোগ করেন। ঢাকা-৯ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী বেলা আড়াইটায় মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টার থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন। এ দিন বেলা দেড়টায় ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। ধানমন্ডি-৩২ নম্বর থেকে এ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। ঢাকা-১৩ আসনের সাদেক খান রায়েরবাজার বৈশাখী মাঠ থেকে গণমিছিল বের করেন। গাবতলী এলাকায় মিছিল করেন ঢাকা-১৪ আসনের প্রার্থী আসলামুল হক আসলাম। মিরপুরে বিশাল শোডাউন করেন ঢাকা-১৫ আসনের কামাল আহমেদ মজুমদার। ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আশকোনা মাঠে জড়ো হয়ে তার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান। একই দিন সকালে ঢাকা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান সালমান এফ রহমান। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। মতবিনিময় শেষে জনগণকে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া রাজধানীর অন্যান্য আসনের প্রার্থীরাও গতকাল শেষ গণসংযোগ করেন। সবারই গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হয়। ঢাকা-৪ আসনের মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে বড় ধরনের শোডাউন করেছেন। বেলা ১১টায় এবং সাড়ে ৩টার সময় দোলাইরপাড় মোড় থেকে দুটি বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বাবলা, সানজিদা খানম, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও ড. আওলাদ। ঢাকা-৬ আসনের মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদ নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে তার নির্বাচনী এলাকায় এক বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণমিছিলে মেয়র সাঈদ খোকন ও কাজী ফিরোজ খোলা ট্রাকে উঠে হাত নেড়ে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। ঢাকা-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ লাঙ্গলের পক্ষে যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ, সারুলিয়া, ডেমরা, মাতুয়াইল এলাকায় গণসংযোগ করেন।

ঢাকায় বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের গণসংযোগ : গতকাল অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাকা-৩ আসন চষে বেড়ান বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পথসভায় তিনি বক্তব্যও দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন এখনো ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। এখনো সময় আছে নির্বাচন কমিশনকে বলব, ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করুন। লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও উঠান বৈঠকসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচারণা চালান ঢাকা-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী। একপেশে নির্বাচন থেকে বের হয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক সাজু। গতকাল দুপুরে নিজ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে এবং জনগণ ঠিকমতো ভোট দিতে পারলে সারা দেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার হবে। ওই গণজোয়ারের ঢেউ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা এই সরকারের নেই। দারুস সালামের নিজ বাসভবনে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট কর্মশালা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি দল ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও শঙ্কা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এরপর তিনি দারুস সালাম এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করেন। ঢাকা-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই মাঠ কীভাবে সমতল। আজ তিন দিন ধরে প্রচারণায় নামতে পারছি না। আজকেও নামতে পারলাম না। নেতা-কর্মীদের আমার বাড়িতে আসতে দিচ্ছে না, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার হামলা-সবই হচ্ছে। আমার বাড়ির সামনে পুলিশ এবং বাবলার সন্ত্রাসীরা (মহাজোট প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা) পাহারা দিচ্ছে।’ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান, দেশের কল্যাণে জনগণ যাতে তার ভোট সুষ্ঠুভাবে দিতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করুন।’ এদিকে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সম্পাদক এম কফিল উদ্দিনের সায়েদাবাদ চৌরাস্তার দক্ষিণখানের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি নেতা কফিলের খোঁজে গিয়ে না পেয়ে বাসভবনে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। ঢাকা-১১ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বেগম শামীম আরা ভাটারা এলাকায় গণসংযোগকালে অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ জন্য আমরা পোলিং এজেন্ট নিয়েও চিন্তিত। আমার প্রচারে কোনো দলের নেতাদের নিয়ে মাঠে নামতে পারিনি। কিছু মেয়ে নিয়ে আমি যতটুকু পেরেছি গণসংযোগ করেছি। তার পরও পদে পদে বাধা ছিল। নানা প্রতিকূল পরিবেশেও আমি নির্বাচনের মাঠে থাকব শেষ পর্যন্ত। ভোটারদের বলব, নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনার মূল্যবান ভোট দিন। ঢাকা-১০ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এম এ মান্নান গত তিন দিন ধরে ‘অবরুদ্ধ’ রয়েছেন। তিনি এই তিন দিন কোনো গণসংযোগও করতে পারেননি। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আমার বাসার সামনে থেকে গত কয়েক দিনে প্রায় দুইশ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনো নেতা-কর্মীকেও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। বেরোতে গেলেই তাদের আটক করা হচ্ছে। বাসায় লিফলেট ও পোস্টার পড়ে আছে। তা কোথাও সাঁটাতে পারিনি। তবে যত বাধাই আসুক না কেন, আমি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকব। এ ছাড়া শাহজাহানপুরে নিজ বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও ঢাকা-৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস। গণসংযোগে বের হলে ৫ কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন আফরোজা আব্বাস। এদিকে ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল শাহজাহানপুরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভোটারদের বলেন, আমি বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাতে চাই। আমরা যখন তোমাদের মতো তরুণ, তখন মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। আজ তোমাদের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটা মুক্তিযুদ্ধ। এটা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধ। ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী বলেন, গত তিন দিন আমার নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছি। এখন শুধু ভোটারদের স্লিপ দেওয়া ও আমাদের এজেন্ট যারা থাকবেন তাদের ব্যবস্থা করছি। যদিও তারা কেন্দ্র থাকতে পারবে কি না সন্দেহ আছে। আমার এলাকায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এর জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি প্রস্তত ছিলাম ভোটের যুদ্ধের জন্য। কিন্তু আজ আমরা হিংস্র হায়েনার খপ্পরে পড়ে গেছি।

শেষ দিনেও ‘অবরুদ্ধ’ ধানের শীষ প্রার্থীরা : প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ জনসভারও অনুমতি পাননি বরিশাল-১ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি জানান, গণসংযোগও চালাতে পারিনি, শেষ দিনে গৌরনদী সরকারি কলেজ মাঠে জনসভা করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি, সেটাও না করা হয়েছে। এই দুঃশাসনের একমাত্র জবাব হতে পারে ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়া। চাঁদপুর-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তিন দিন ধরে নিজ বাসভবনে ‘অবরুদ্ধ’ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ নিয়ে শেখ ফরিদও রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারি দলের সঙ্গে তারা যেন একই সূত্রে গাঁথা। প্রার্থীর প্রতি প্রশাসনের এমন আচরণ শপথ ভঙ্গের শামিল বলে অভিযোগ তার।

সর্বশেষ খবর