রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোটারদের উদ্দেশে কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার-নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে তিনি বলেছেন, ভোটের দিন (আজ) আপনাদের সুযোগ আসবে স্বৈরশাসকদের হাত থেকে মুক্তিলাভের, দেশকে মুক্ত করার। সব হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দলে দলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। পালাক্রমে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন। ফজরের নামাজ পড়েই ভোটের লাইনের দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের আমি অনুরোধ করছি। গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বার্তা পড়ে শোনান। এতে ভোটের দিন ভোটার-নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে খালেদা জিয়ার ১০ নির্দেশনা রয়েছে। রিজভী বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগার থেকে সাধারণ ভোটার, ধানের শীষের সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কয়েকদিন আগে পাঠানো আওয়ামী দুঃশাসনবিরোধী বার্তা দিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্রের পাশে পাশে থাকবেন, আপনারা শুধু সাধারণ ভোটারই নন ভোটারদের অতন্দ্র প্রহরী। আপনাদের এক একটি ভোট নিশ্চিত করতে পারে জনগণের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের পোলিং এজেন্টদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বার্তায় বলেছেন, ভোট শুরুর আগে ব্যালট বাক্স পরীক্ষা করবেন, ফলাফল না নিয়ে আপনারা কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। আপনারা ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করবেন। ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা কওে কে কত ভোট পেল তা নিশ্চিত না হয়ে সাদা কাগজে কেউ সই করবেন না। কোনো অবস্থাতেই প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়া সই করবেন না। ফলাফল নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাবেন। মওদুদ-বুলুসহ নেতাদের অডিও ফোনালাপ মিথ্যা দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কণ্ঠস্বর কাটপিস করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বাংলা ইনসাইডারসহ কিছু কিছু ওয়েব পেজ ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সেখানে আমাদের মন্তব্য তুলে দিচ্ছে যে, দলের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে, মহাসচিব এই করেছেন। এসব কথা শুধু মিথ্যাই নয়, সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্তি তৈরি করতে তারা (ক্ষমতাসীনরা) এসব করছে। তিনি বলেন, গত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৯ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ১১ হাজার ৫০৬ জন, গায়েবি ও মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৯৫৭টি। গতকাল (শুক্রবার) এক দিনে বিভিন্ন জেলায় বানোয়াট মামলা দায়ের হয়েছে ৫৯টি এবং গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহদফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক খন্দকার প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর