আজকের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংতার সৃষ্টি হলে তা কঠোর হস্তে দমনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। গতকাল নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি জানাতে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি পুলিশ বাহিনীকে এ নির্দেশ দেন।

নির্বাচনী প্রতিযোগিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয় সে জন্য অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, এরই মধ্যে কিছু নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রি. জে. (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। নুরুল হুদা বলেন, ‘রবিবার (আজ) সকাল ৮টা থেকে একযোগে সারা দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬৩ জন রিটার্নিং অফিসার ও ৫৮০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও এজেন্ট নিয়োজিত রয়েছেন। ১০ কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে দুই লাখ ছয় হাজার ৭৭৭টি বুথ নির্মাণ করা হয়েছে।’ সিইসি বলেন, সারা দেশে নির্বাচনী উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কোনো বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় কোথাও কোনো সহিংসতা হলে তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে তাকে হয়রানি করবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রার্থীর স্বার্থ বিবেচনা করে নির্বাচনের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত তারা কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। কেউ যদি তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে তারা দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা নিতে পারেন।’ ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনার ভোট অতি মূল্যবান। কোনো ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। সবার চেষ্টাই পারে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠান করতে।’