প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৫৭ ধারার মামলায় মোহাম্মদ মনির নামে এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। গতকাল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামশ জগলুল হোসেন এ রায় দেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় মনির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রতকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলা সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারে দন্ডপ্রাপ্ত মনিরের মনির টেলিকম নামের দোকান ছিল। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছবি বিকৃতি করে বিভিন্ন মোবাইলে দিতেন। এদিকে, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জের সাঁটুরিয়া থানার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বিকৃতি করা অশ্লীল ছবি বিভিন্ন জনকে দেখাতে থাকেন। এমন সংবাদ পেয়ে সাঁটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে  গ্রেফতার করে। এসময় আলমগীর জানান, তিনি এই ছবিগুলো টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে সাঁটুরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাঁটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস ছালাম বাদি হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা করেন।