আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের আবার আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও আশপাশের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদের সঙ্গে যৌথ সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং নেতাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। এ ব্যাপারে আমরাও সবাই একমত।’ আমন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল গণভবনে আমন্ত্রিত। ঐক্যফ্রন্ট আছে, যুক্তফ্রন্ট আছে, ১৪ দল আছে, জাতীয় পার্টি আছে, অন্য যেসব দল আছে, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করেছিলেন, তাদের চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি তো জেনেশুনে বিষ পান করেছেন। জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ছিল, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট করা ভুল হয়েছে- ড. কামাল হোসেনের এই ভুল স্বীকার এবং স্বীকারোক্তি, তা অব্যাহত রাখলে চলবে। তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেনের বক্তব্য এখানে আমরা স্ববিরোধী বলে মনে করছি। কেননা তিনি জেনেশুনেই তো বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছেন। জামায়াত ছাড়া তো বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই। বিএনপি মানেই জামায়াত, জামায়াত মানেই বিএনপি। এ অবস্থায় কামাল হোসেন সাহেব, তিনি জেনেশুনে কেন এত বড় ভুল করলেন, তাকেই সে ভুলের খেসারত দিতে হবে।’
ড. কামাল সংলাপকে স্বাগত জানালেন : বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ আহ্বানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, কার্যকর পথে আরেকটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাই। এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি এবং নিশ্চিতভাবেই এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, সংলাপের আমন্ত্রণ পেলে তাদের জোটের নেতারা এক সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেখানে আলোচ্য বিষয় কী হতে পারে, তা নির্ধারণ করা হবে। আমন্ত্রণ পেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইতিবাচক সাড়া দেবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। দেশের মানুষের জন্য এই সংলাপের ফলাফল ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন কামাল হোসেন।তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি এ ধরনের কোনো বিষয়ে অবগত নই। তাই এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। এর আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের আবার আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।