শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
আদালতে খালেদা জিয়া

আমি এখানে থাকব না চলে যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এজলাসের ভিতরে পেশকারের পেছনে যে জায়গায় বসানো হয়েছিল, সেখান থেকে বিচারককে দেখা না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি এখানে থাকব না। আমি এখান থেকে চলে যাব।’ গতকাল গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে হাজির হয়ে বসার জায়গা নিয়ে আপত্তি তুলে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার কারাগারের ভিতরে অস্থায়ী এজলাসে হলেও গ্যাটকো মামলা চলছে বকশীবাজারে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে। গতকাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আসামিপক্ষ মামলার নথি চেয়ে আবেদন করলে বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন শুনানি পিছিয়ে দেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন বিচারক। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার পর হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। এজলাসের বাঁ পাশে পেশকারের পেছনে দেয়ালঘেরা একটি জায়গায় তাঁকে বসানো হয়। বিচারকের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি এখান থেকে আপনাকে দেখতে পাচ্ছি না। আমাকে আদালতে (কাঠগড়ায়) ঢোকাতে চাচ্ছেন? এতে আমি রাজি আছি।’ ঘেরাওয়ের মধ্যে বসানোর কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এর আগে তো এখানে দেয়াল ছিল না। আমি এখান থেকে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে এ সময় আদালতে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। এ জে মোহাম্মদ আলী বিচারককে বলেন, ‘কেন তাঁকে পৃথক করছেন? আপনি সিদ্ধান্ত দিয়ে তাঁকে সামনে নিয়ে আসেন। তাঁকে পৃথক রাখার কোনো সুযোগ নেই।’ এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আদালত তো এইভাবে নির্মিত। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে ওই জায়গায় রাখা হয়েছে।’ বিচারক পরে বলেন, ‘আমি তো আজ নতুন। বিষয়টা আমি দেখব। আজ এখানেই থাকুক।’ এর আগে ১৬ জানুয়ারি পায়ে ফোঁড়া ওঠায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় গ্যাটকো মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৩ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা। চারদলীয় জোট সরকারের নয় মন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর