অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কাউকে কষ্ট দিয়ে কর আদায় করা হবে না। এবার রাজস্ব আহরণ টার্গেট ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। এটা অর্জন করতে হবে। কিন্তু কাউকে কষ্ট দিয়ে নয়। সবার সঙ্গে উইন উইন অবস্থানে রাজস্ব আদায় করা হবে। সরকারের চাহিদা বেড়েছে। দেশের উন্নয়নে আমাদের রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। রাজস্ব আদায়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলে ব্যবসায়ীরা যেভাবে চাইবেন সেভাবেই তাদের সহযোগিতা করা হবে। কেউ খালি হাতে ফিরে যাবেন না।
গতকাল শেরেবাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসা ও শিল্প-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে প্রথম পর্বের ধারাবাহিক আলোচনা সভা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমানো হবে, এটা না করলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসির, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবির, বিটিএ প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ, রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিনসহ বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ, লেদার গুডস অ্যান্ড ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রায় সব বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।