সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

একের পর এক আগুন, দায় কার

বনানী নিয়ে গণশুনানিতে ২৪ জন বললেন আগুন ৮ম তলার শর্ট সার্কিট থেকে, অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ, দুজন রিমান্ডে, এফআর ভবন চালু হতে পাঁচ মাস, গুলশানে ২১১ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের ২৪ টিম আজ নামছে : পূর্তমন্ত্রী

সাখাওয়াত কাওসার ও আলী আজম

একের পর এক আগুন, দায় কার

কিছু পুঁজি ওঠানোর চেষ্টা। গুলশান কাঁচাবাজারে আগুনে আধা পোড়া জিনিসপত্রই গতকাল বিক্রি করছিলেন অনেক বিক্রেতা -জয়ীতা রায়

রাজধানীতে ঘটেই চলেছে একের পর এক আগুনের ঘটনা। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ঘটছে প্রাণহানি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর আর্তনাদ কর্তৃপক্ষের হৃদয় স্পর্শ করলেও সময়ের ব্যবধানে ওই অনুভূতিতেও ধুলো পড়ে যাচ্ছে। বন্ধ হচ্ছে না আগুনে পুড়ে মৃত্যুর মিছিল। চকবাজারের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের মাত্র ৩৭ দিনের মাথায় বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর প্রশ্ন উঠছে, এসব ঘটনার দায় কার? কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করলেও অনেকে ভবন মালিক এবং বাসিন্দাদের অসেচতনতা, অসর্তকতা ও অব্যবস্থাপনাকে দুষছেন।  মৃত্যুর ঘটনাকে অনেকে অবহেলাজনিত হত্যা বলেও অবহিত করেছেন। এদিকে গতকালের গণশুনানিতে অংশ নেওয়া ২৪ জনের বক্তব্যে উঠে এসেছে অষ্টম তলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এ ছাড়া শনিবার রাতে গ্রেফতার এফআর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক এবং ভবনের ১৮ থেকে ২৩ তলার মালিক তাজভিরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় রাজউক, ভবন মালিক, নির্মাণ সংস্থা, ব্যবসায়ীসহ সবারই কমবেশি অবহেলা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগুন লাগার কারণ হচ্ছে সর্বত্রই গলদ। এর দায় এড়াতে পারে না এর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থাগুলো। রাজধানীকে বাসযোগ্য করার মতো বিশেষ পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। নইলে আগুন লাগবে, ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাবে। তবে এর মধ্যে ঝরে যাবে অনেক তাজা প্রাণ, ঘটবে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতি। তবে এখনই ফায়ার সার্ভিসকে আরও যুগোপযোগী করার সময় এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে আধুনিক করার পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে আরও কার্যকর করতে হবে। এসব বিষয় গভীরভাবে বিবেচনায় না আনলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান আবদুল বাতেন গতকাল মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, রাজউক, ভবন মালিক, আবাসন ব্যবসায়ীসহ এখানে কমবেশি সবারই অবহেলা ছিল।  আমরা দেখব, এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ছিল কি না। বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবনে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকার কথা তা ছিল কি না, সেটি দেখা হবে।’ এদিকে গতকাল মধ্যরাতে এলিফ্যান্ট রোডের গাউছিয়া মার্কেটের তৃতীয় তলায় একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে খুব দ্রুতই তা নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

গণশুনানিতে ২৪ জনের সাক্ষ্য : বনানীর এফআর টাওয়ারে আটতলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও  ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটিকে এমন কথা জানিয়েছেন এফআর টাওয়ারে ঘটনার সময় অবস্থানরত ২৪ জন। গতকাল সকাল ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত বনানীর সফুরা টাওয়ারের নিচে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে তাদের গণশুনানি করা হয়। জানা গেছে, এফআর টাওয়ারের আটতলায় স্পেকট্রা এসএন টেক্স লিমিটেড নামে একটি বায়িং হাউসের অফিস ছিল। গণশুনানি শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘ওই ভবনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২৪ জন কর্মীর ভাষ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, ভবনের আটতলায় স্পেকট্রা এসএন টেক্স লিমিটেড নামে একটি বায়িং হাউসের অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত। তারা বলেছেন, ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।’ শুনানিতে আসা কর্মীরা অনেকে এক্সিট ডোরের কথা জানতেন না। তাই তারা এটি ব্যবহার করতে পারেননি। এ ছাড়া ফায়ার এক্সিট অত্যন্ত সরু ছিল। ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও নিরাপত্তাকর্মীরা তা ব্যবহার করতে পারেননি। আগুন লাগার সময় ফায়ার সেফটির অ্যালার্ম বাজেনি। ৩ এপ্রিলের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।

সংস্কারের আগে ভবন ব্যবহার নয় : আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ার সংস্কারের আগে ব্যবহার করা যাবে না। এফআর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে। ভবনের ভেতরে কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল সকালে এফআর টাওয়ার ব্যবহারের উপযোগিতা খতিয়ে দেখতে রাজউকের গঠিত ছয় সদস্যের কমিটি ভবনটি পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেছে। ৩০ মার্চ গঠিত এ কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। ভবনে কলাম ও স্ল্যাব ভেঙেছে এবং এটি কিছুটা হেলেও পড়েছে। ভবনে জরুরি নির্গমন পথ ছিল খুবই অপ্রশস্ত। জরুরি নির্গমন পথটি কোনো কোনো জায়গায় বন্ধ ছিল। কেবল একটি তলায় ফায়ার ডোর ছিল। ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি টিকবে কি না তা ১৫০ দিন পর বলা যাবে। রাজউকের গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন মেজর (অব.) শামছুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (আহ্বায়ক), রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) আবদুল লতিফ হেলালী (সদস্যসচিব), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জুবায়ের সাহেলীন (সদস্য), বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ (সদস্য), অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী (সদস্য) ও অধ্যাপক রাবিক আহসান (সদস্য)।

গুলশানে স্বতন্ত্র ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন চেয়ে রিট : রাজধানীর গুলশান এলাকায় স্বতন্ত্র ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন ও গুলশান এলাকার সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন নিশ্চিতকরণের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট করা হয়েছে। গুলশান সোসাইটির পক্ষে গতকাল হাই কোর্টের সংশিষ্ট শাখায় এই রিট করেন আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। রিটের বিষয়টি আইনজীবী নিজেই নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবী জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনের এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ মার্কেটে এর আগে ২০১৭ সালেও আগুন লেগেছিল। আজ থেকে রাজউকের অভিযান : নিয়ম না মেনে গড়ে তোলা রাজধানীর ত্রুটি ও ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন চিহ্নিত করতে আজ থেকে মাঠে নামছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ২৪টি দল। ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। গতকাল রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের পর ঢাকা শহরে বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহের ব্যাপারে আশু করণীয় নির্ধারণে রাজউক অডিটরিয়ামে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘নিয়ম না মেনে কোন এলাকায় কতগুলো ভবন নির্মিত হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে আমরা সর্বোচ্চ সময় রেখেছি ১৫ দিন। সমালোচনা রয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। আমরা প্রতিবেদনগুলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করব। নিয়মের বাইরে থাকা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ভবনে দুর্ঘটনা ঘটলে আগে শুধু মালিক বা ডেভেলপারকে শাস্তি দেওয়া হতো। এখন ওই ভবন নির্মাণের সময় দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর এবং অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮-এর মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বা গ্যারেজ রাখার কোনো বিধান না থাকায় সেই সব ভবনের ব্যাপারে নতুন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ ১ মে থেকে রাজউকের সব সেবা ডিজিটালাইজেশন হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজউকের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় সব রেকর্ড থাকতে হবে। অনেক ভবনের রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে না। সেগুলো আবার পরিদর্শন করে রেকর্ড নথিভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, গতিশীলতা আনতে রাজউককে ঢেলে সাজানো হবে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে রাজউক কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি এলাকার প্রতিটি নির্মাণকাজের তথ্য প্রতিদিন আপডেট করতে হবে। প্রতি মাসের কাজের মূল্যায়ন হবে। নিয়ম না মেনে গড়ে ওঠা ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতে নোটিশ দিয়ে ক্ষান্ত হলেও এখন তা হবে না। মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ২১১ ব্যবসায়ী, নাশকতার অভিযোগ : পরিকল্পনা করেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ২০১৭ সালের পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তারা। মার্কেটটির ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘আগুনে মোট ২১১টি  ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়েছে। উত্তরের মেয়র আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ফের মার্কেট সংস্থারের কাজ শুরু করবেন তারা।’ তবে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। আর আগুন ছড়িয়েছে মার্কেটের পারফিউমের কৌটা, দোকানের তেলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থেকে। ২০১৭ সালের আগুনে এখানকার ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়েছিল। সেই ঘটনায় আগুনের সঠিক কারণ এখনো প্রকাশ পায়নি। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণের তেমন কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ২০১৭ সালে মার্কেটে আগুন লাগার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার জন্য চারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নোটিশের জবাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে পেশাজীবীদের সঙ্গে ডিএনসিসি মেয়রের মতবিনিময়: অগ্নিকান্ড  প্রতিরোধে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল বিকালে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অগ্নিকান্ডের কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা, অডিও-ভিজুয়াল প্রস্তুত করে তা গণমাধ্যমে প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ডিএনসিসি, বুয়েট, বিভিন্ন সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে একটি কমপ্লায়েন্স টিম গঠন করা হবে। এটি মূলত বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন করে অগ্নিঝুঁকি নিরসনে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে। তাছাড়া অগ্নি-প্রতিরোধে কমপ্লায়েন্স টিম বিভিন্ন পাবলিক ভবন যেমন- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, মার্কেট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করবে। মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আনসারী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আলী আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর