বিশিষ্ট কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম হারুন আর রশিদ বলেন, ‘দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে লাখো মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে। এসব রোগীর উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে মাইক্রো অ্যালবুমিন বা অ্যালবুমিন যাচ্ছে কি না এ বিষয়গুলো একসঙ্গে পরীক্ষা করাতে হবে। এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে প্রাথমিক পর্যায়ে বিরাট সংখ্যক মানুষের কিডনি রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, কিডনি রোগ শনাক্ত হওয়া রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিলে ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে ক্রনিক কিডনি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কিডনি রোগ প্রতিরোধে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, অতিরিক্ত লবণ পরিত্যাগ, হরহামেশা ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন, ফাস্টফুড, চর্বি জাতীয় খাবার ও ধুমপান বর্জন করা উচিত। এ ছাড়া পরিবারের সব সদস্যের বছরে অন্তত একবার সিরাম ক্রিয়েটিনিন, ইউরিন আর/ই, আল্ট্রাসনোগ্রাম করে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা উচিত।