জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদরোগ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের প্রকোপ, স্থুলতা, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। জীনবযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনলে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগের প্রকোপ বৃদ্ধির প্রধান কারণ খাদ্যাভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি আকর্ষণ, খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি দেওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়। তাছাড়া মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, হৃদরোগের ঝুঁকিগুলো নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যদি হৃদরোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়, তবে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এখন চারপাশে প্রচ দাবদাহ; এর মধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। তবে রমজান মাস হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। রোজা রাখার ফলে রক্তে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ কমে, উপকারী চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাছাড়া স্থুলকায় ব্যক্তিরা এ সময়টায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
যারা ধূমপান করেন তারা রোজায় ধূমপান ছাড়ার পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে ইফতার ও তার পরবর্তী খাবারে যেন ফল, শাক সবজি ও পানীয়র আধিক্য থাকে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা হৃদরোগ দূরে রাখবে।