দুর্নীতি মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন না দিয়ে তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে। হাই কোর্টের এই আদেশের ফলে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে লতিফ সিদ্দিকীকে। আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. ওমর ফারুক। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী থাকার সময় লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের অধীনে থাকা বগুড়ার আদমদীঘির রানীনগর ক্রয় কেন্দ্রের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৫ টাকার সম্পদ ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৪ টাকায় বেগম জাহানারা রশিদের কাছে বিক্রির নির্দেশ দেন। এতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় অভিযোগ করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকী ও জাহানারা রশিদকে আসামি করে বগুড়ার আদমদীঘি থানায় মামলা করেন। গত ২০ জুন লতিফ সিদ্দিকী বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে জামিন না দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠান বিচারক। পরে গত ৩০ জুন লতিফ সিদ্দিকীর হৃদরোগসহ কিডনি, লিভারের নানা সমস্যা ও বয়স উল্লেখ করে তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠিয়েছে।