বরগুনার আলোচিত রিফাত শরিফ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে শ্রাবণ (১৫) নামের একজনকে গতকাল গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু শ্রাবণের বাবা ইউনুস সোহাগ বলেছেন, গতকাল নয়, ১ জুলাই স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে আসার পর বাসা থেকে শ্রাবণকে পুলিশ নিয়ে যায়। তবে শ্রাবণের বাবার দাবি অস্বীকার করে রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গতকাল সকালে শ্রাবণকে পুলিশ আটক করেছে। ওই দিনই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্র্র্থনা করা হলে আদালত শ্রাবণের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদিকে গতকাল সকালে রিফাত হত্যার মূল হোতা রিফাত ফরাজীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় বরগুনা সরকারি কলেজে ক্যান্টিনের পেছনের পরিত্যক্ত ডোবা থেকে একটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। রিফাত ফরাজী গ্রেফতার হওয়ার পর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রিমান্ডে রিফাত শরিফকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন রিফাত ফরাজী। এ পর্যন্ত এ মামলায় আদালতে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে অতিরক্তি পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, ‘রিফাত ফরাজী পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ (গতকাল) সকালে সরকারি কলেজের কলাভবনের পেছনের পরিত্যক্ত ডোবা থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।’ এদিকে গতকাল জোহর নামাজের পর নিহত রিফাত শরিফের বাড়িতে কুলখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার পরিবারের নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২৬ জুন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরিফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরিফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। রিফাত শরিফের স্ত্রী দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরিফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাতকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রিফাত শরিফের মৃত্যু হয়।