মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আমলের আইন আছে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে চরিত্র বিষয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন করা হয়। হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারীদের চরিত্র নিয়ে টানাহেঁচড়া বাদ দিতে হবে। আসামি হলেও তার মানবাধিকার যেন লঙ্ঘন না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে আমাদের সমাজে নারী ভিকটিম হলেও সমাজ তাকে অপরাধীর আসনে বসিয়ে দেয়। এটা শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায় আবদ্ধ। ধর্ষণ মামলাগুলোর ক্ষেত্রে ভিকটিমকেই প্রমাণ করতে হয় তার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে নারীদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। অপরাধী শনাক্ত করতে গিয়ে চরিত্র নিয়ে শোরগোল তোলা উচিত নয়। অপরাধ শনাক্ত করতে ফোনকল, এসএমএস, গতিবিধি নজর রাখাসহ অনেক পদ্ধতি রয়েছে। হেয়প্রতিপন্ন না করে, বাজে প্রশ্ন না করেও অপরাধ প্রমাণ করা যায়।