ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে ‘রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত’ হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকালে হাসপাতালে চিকিসাধীন আহত নেতা-কর্মীদের দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত সফল সম্মেলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদল যে সময় নতুন উদ্যোগ নিয়ে নতুন একটা স্বপ্ন সৃষ্টি করে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করছিল ঠিক সেই সময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিশেষ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আজকে ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিসহ নেতা-কর্মীদের ওপর যে আক্রমণ চালিয়েছে এটা শুধু ন্যক্কারজনকই নয়, এটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত মনে করছি। ছাত্রদলের ওপর এ হামলা গণতন্ত্রের ওপর হামলা। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিএনপি মহাসচিব কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান। তিনি তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন। বিএনপি মহাসচিব তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবরও নেন। এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ডা. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও আহতদের দেখতে যান। মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সন্ত্রাসী দল, ছাত্রলীগ তো বটেই। ছাত্র রাজনীতির যে একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে যাচ্ছিল ছাত্রদল, সেই অধ্যায়কে সমূলে বিনষ্ট করার জন্য পাঁয়তারা করছে সরকার ও তাদের ছাত্র সংগঠন। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ সব রকমের অন্যায়-অপকর্ম তারা করছে। সন্ত্রাস তারা সব সময় করে এসেছে। সেই সন্ত্রাসের একটা নজির আজকে দেশবাসী দেখতে পেল। তিনি বলেন, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদল যেভাবে জেগে উঠেছে তারা নিশ্চয়ই অত্যন্ত সুসংগঠিত হতে পারবে। দেশের ছাত্র রাজনীতিতে বিশেষ করে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সন্ত্রাসীরা কখনো জয়ী হতে পারে না। তারা অবশ্যই এ ছাত্রদলের নেতৃত্বেই পরাজিত হবে।