একটি শ্রেণি রাজনীতিকে ‘ব্যবসা আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে তাদের হুঁশিয়ার করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, রাজনীতিতে এ সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও আগ্রহ কমে যাবে। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠার পথ রুদ্ধ হবে। রাজনীতি তখন আর রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। খবর বিডিনিউজ।
সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সংসদ সদস্য আলী আশরাফ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বোন জেবা রশীদ চৌধুরী ও ডা. সামন্ত লাল সেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, রাজনীতিবিদের জন্য নীতি ও আদর্শ মেনে চলা জরুরি। দেশ, জাতি ও দল পরিচালনায় নেতৃত্বের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, হঠাৎ করে টাকা বা ক্ষমতার জোরে নেতা হওয়া যায়, কিন্তু জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা যায় না। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের জন্য জনগণের আস্থা ও সমর্থন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দেশে সুষ্ঠু ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে রাজনীতিবিদদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুষ্ঠু ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদেরই নিতে হবে। রাজনীতি যাতে রাজনৈতিক পরিবেশে অর্থাৎ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি দেশের সব রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবেন। তা হলে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী তরুণরা রাজনীতিতে আগ্রহী হবে এবং সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিদদের সম্মানের চোখে দেখবে।