রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হয়রানিতে ৯৪ শতাংশ নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ২৭ থেকে ৩০ শতাংশ নারী প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রের জন্য ছুটছেন। আর তাদের অধিকাংশেরই যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে গণপরিবহন। পাবলিক প্লেসসহ যাতায়াতে এই ২৭ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৯৪ শতাংশ নারীই কোনো না কোনোভাবে হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে যৌন হয়রানির পরিমাণটাই সব থেকে বেশি। গতকাল বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানান ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভার্সিটি প্রোগ্রামের জেন্ডার স্পোশালিস্ট হোসনে আরা বেগম। হোসনে আরা বেগম বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা  গেছে, নারীদের এই হয়রানিতে যুবকদের থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের পরিমাণই বেশি। আর পরিবহনে হয়রানির পর শুধু কয়েকটি সংগঠন বা কয়েকজন নারীই প্রতিবাদ করেন। তবে এদের সঙ্গে বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা বা ধর্মীয় সংগঠনের এগিয়ে আসা উচিত। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের প্রধান ডা. কামরান উল বাসেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লিনিক্যাল সাইক্লোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোবেদা খাতুন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিকী প্রমুখ। জোবেদা খাতুন বলেন, পরিবহনে ড্রাইভার-হেলপারদের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাপারটা ভয়াবহ হয়। প্রায় প্রতিদিন ড্রাগ নেওয়ার ফলে তারা স্বাভাবিক আচরণ করতে পারে না। বিআরটিসির পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সব চালককে দুই সপ্তাহের একটি প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ করানো হয়।

সর্বশেষ খবর