রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পূর্ণ প্রস্তুতি ঢাকা সিটি ভোট নিয়ে

গোলাম রাব্বানী

ঢাকা সিটি করপোরেশন ভোট নিয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও সমান্তরালে প্রার্থী চূড়ান্তকরণের কাজ এগিয়ে রাখছে। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিও প্রার্থী বাছাই করছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করবে। জানা গেছে, মেয়র পদে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত। এখন অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এদিকে নির্বাচন কমিশন জানুয়ারিতেই ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন করতে ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছে। ভোটকেন্দ্রের তালিকাও প্রস্তুত রাখছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইসি পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ইসি সচিবালয় দুই সিটিতে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে। দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এজন্য প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় মেশিন কমিশনের সংগ্রহে রয়েছে। এবার সিটি ভোটে ইভিএম ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন দুই সিটির ২০ জন আইসিটির শিক্ষক। তাদের ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেবে কমিশন।    

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপার থাকবে না। ইভিএমের মাধ্যমে দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী মাসের শুরুতে বৈঠক করে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শুরু বা মাঝামাঝিতে এ নির্বাচনের তফসিল হতে পারে। জানা গেছে, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬ বা ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল; ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিও। আগামী বছরের ৭  ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। কমিশনের প্রথমত পরিকল্পনা ডিসেম্বরের শুরুতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে ঢাকার দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করা। দ্বিতীয় পরিকল্পনা হচ্ছে-সরকার জানুয়ারিতে ভোট না চাইলে মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে একই দিন ভোট করা। এই দুই পরিকল্পনা ধরেই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চলছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। তবে  ভোটের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণে সরকারের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে কমিশন।

সর্বশেষ খবর